n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৬-০৯ ১০:১৫:০৮ || আপডেট: ২০১৫-০৬-০৯ ১০:১৫:০৮
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন ,আরটিএমনিউজ২৪ডটকম
চট্টগ্রাম: নিবন্ধনবিহীন অনটেস্ট বা এএফআর নামে অবৈধভাবে চলাচলকারী চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭ হাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার ৮ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিবন্ধন দেয়া হলে সরকার প্রতিটি অটোরিক্সা থেকে নিবন্ধন প্রদানকালে নানা খাতে ফি বাবদ প্রতিটি ১২৫৪৯ টাকা হারে ১৫ হাজার অটোরিক্সা থেকে ১৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হতো। এবং প্রতি বছর নবায়ন ফি বাবদ ৭৩০৪ টাকা হারে ১৫ হাজার অটোরিক্সা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হতো।
সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় বছরের পর বছর ধরে অনটেস্ট বা নিবন্ধনবিহীন অবস্থায় চলাচলের কারণে এসব অটোরিক্সার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটিতে ১৩০০০ হারে ২৬ হাজার পরিবেশ বান্ধব সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিবন্ধন প্রদান করে। এসব অটোরিক্সায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির নানা অভিযোগের মুখে ২০০৭ সালে “সিএনজি অটোরিক্সা সার্ভিস নীতিমালা ২০০৭” অনুমোদন করা হলেও দীর্ঘ প্রায় এক দশকে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। অটোরিক্সার নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রীরা প্রথম ২ কি.মি. ২৫ টাকা ভাড়ায় এবং পরবর্তী প্রতি কি.মি. ৭ টাকায় যাতায়াতের কথা হলেও ৩ কি.মি. যাত্রা পথে চট্টগ্রাম মহানগরীর যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি গন্তব্যে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি অটোরিক্সা যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন গন্তব্যে যেতে বাধ্যবাধকতা থাকলেও নগরীর কোন অটোরিক্সা যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে চায় না। মিটারে চলাচল বাধ্যতামূলক হলেও কোন অটোরিক্সা তা মানছে না। নগরীর চলাচলরত এসব অটোরিক্সা নানা অভিযোগ তুলে মিটার বিহীন অবস্থায় চলাচল করলেও বিআরটিএ, পুলিশ, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কোন উদ্যোগ নেয় না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে প্রতিটি অটোরিক্সা দৈনিক ১০০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ১৩০০০ অটোরিক্সা ১৩ বছরে চট্টগ্রাম মহানগরীর যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে প্রায় ৬০৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে লুটপাট করেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করে বলেন, এসব অটোরিক্সার তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ বছর ইকনোমিক লাইফ ধরে ব্যয় বিশ্লেষণ পূর্বক যাত্রী ভাড়া এবং মালিকের জমা নির্ধারণ করা হলেও নীতিমালা লংঘন করে চলাচলকারী যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য শীর্ষস্থান দখল করলেও সরকার বার বার এই যানবাহনে ইকনোমিক লাইফ সহ নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছে। বর্তমানে ইকনোমিক লাইফ ৩ দফা বৃদ্ধি করে ১৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকার ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ১৩০০০ অটোরিক্সার সিলিং নির্ধারণ কালে এই নগরীর জনসংখ্যা ছিল ৩৩ লক্ষ, বর্তমানে নগরীর লোকসংখ্যা ৭০ লক্ষে উন্নীত হওয়ার পাশাপাশি রোড স্পেস, যাত্রীদের সামর্থ্য সহ সমস্ত অবকাঠামো বৃদ্ধির পরও অটোরিক্সা সিলিং সংখ্যা বৃদ্ধি না করায় ভয়াবহ সংকটের কারণে ভাড়া নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। একই সাথে সিলিং সংখ্যা ২০ হাজারে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ডিলার বা এজেন্ট সিএনজি অটোরিক্সার নিবন্ধন নিশ্চিত করে বিক্রির নীতিমালা অমান্য করে বিক্রির কারণে চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে নিবন্ধন বিহীন অটোরিক্সা চলাচল মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়।(বিজ্ঞপ্তি)