n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৬-০৬ ০৪:০৮:৩৯ || আপডেট: ২০১৫-০৬-০৬ ০৪:০৮:৩৯
বাজেটে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ না থাকায় চট্টগ্রাম বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবারও উপক্ষিত হয়েছে।
এবারের বিশাল বাজেটে-দেশের শতকরা আশিভাগ আমদানি রপ্তানী বাণিজ্যের আয়ের যোগানদার বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অবকাঠানো উন্নয়নের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ রাখা হয় নাই।
এজন্য চট্টগ্রামবাসী হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করিতেছে। আমাদের দাবী কমপক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অর্জিত আয়ের ১৫শতাংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হোক। বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয় ২,৫০,০০০/- ও বৃদ্ধ নারীদের জন্য ৩,০০,০০০/-টাকা করমুক্ত আয় প্রস্তাব, সিট মহলের জন্য আলাদা বরাদ্দ প্রদান, ছোট ফ্লাট কেনার জন্য মুসক হ্রাস, দেশীয় শিল্পের প্রসারের জন্য মুসক হ্রাস, এগুলো বাজেটের অন্যতম ভাল দিক। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পূর্ববর্তী কর ১০০০/-, ২,০০০/- ও ৩,০০০/-টাকার স্থলে চার হাজার টাকা নির্ধারণ করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এই প্রস্তাব দুর্বল ও সক্ষম ব্যবসায়ীদেরকে একইভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই প্রস্তাব পূর্বের ন্যায় বহাল রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছি। মূল্য সংযোজন কর এর সকল জটিলতা নিরসন করে ক্ষুদ্র ও খুচরা দোকান মালিকদের জন্য বাৎসরিক পেকেজ ভ্যাট ৯,০০০/-টাকা করার জন্য প্রস্তাব করিতেছি। বাজেটে প্রস্তাবিত ১৪,০০০ টাকার বাৎসরিক ভ্যাট প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সর্বপরি ৭ শতাংশ জিডিপি অর্জনের প্রস্তাবনা, ১৮ সনের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে যমুনা সেতুর কাজ সমাপ্ত করার প্রস্তাব এই বাজেটকে একটি ঐতিহাসিক গর্বিত ও সাহসী বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করিতেছি। বাজেট বাস্তবায়রে জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। যেকোন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবসায়ীগণ নাগরিক দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকার, বিরোধীদল ব্যবসায়ী ও জনগণকে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করিতে হইবে।