, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

নামাজ না পড়লে কি রোজা কবুল হবে, চলুন জেনে নিই

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-২৯ ১৩:৫৬:৪৭ || আপডেট: ২০১৫-০৬-২৯ ১৩:৫৬:৪৭

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ডেস্ক: রোজা রাখেন কিন্তু অনেকেই নামাজ আদায় করেন না। সিয়াম সাধনার পর নামাজ আদায় না করলে রোজা কবুল হবে কিনা তা হয়তো অনেকেই জানেন না। চলুন এবার জেনে নিই বুখারী শরীফ এবং মুসলীম শরীফের আলোকে কি বলা আছে।

বুরাইদা (রা.) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

( مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ )

‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করে তার আমল নিস্ফল হয়ে যায়। [ বুখারী – ৫২০ ]

এর অর্থ হলো, তা বাতিল হয়ে যায় এবং তা তার কোনো কাজে আসবে না। এ হাদিস প্রমাণ করে যে, বেনামাজির কোনো আমল আল্লাহ তা’য়ালা কবুল করেন না এবং বেনামাজি তার আমল দ্বারা কোনোভাবে উপকৃত হবেন না। তার কোনো আমল আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হবে না।

ইবনুল কায়্যিম তার ‘আস-সালাত’ নামক গ্রন্থের ৬৫ পৃষ্ঠায় এ হাদিসের মর্মার্থ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,

বেনামাজি ব্যক্তি দুই ধরনের-
(১) পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করা। কোনো নামাজই না পড়া। এ ব্যক্তির সব আমল বিফলে যাবে।

(২) বিশেষ কোনোদিন বিশেষ কোনো নামাজ ত্যাগ করা। এক্ষেত্রে তার বিশেষ দিনের আমল বিফলে যাবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে নামাজ ত্যাগ করলে তার সার্বিক আমল বিফলে যাবে। বিশেষ নামাজ ত্যাগ করলে বিশেষ আমল বিফলে যাবে’।

‘ফাতাওয়াস সিয়াম’ (পৃ-৮৭) গ্রন্থে এসেছে শাইখ ইবনে উছাইমীনকে বেনামাজির রোজা রাখার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি উত্তরে বলেন:

বেনামাজির রোজা শুদ্ধ নয় এবং তা কবুলযোগ্য নয়। কারণ নামাজ ত্যাগকারী কাফের, মুরতাদ’।

এর স্বপক্ষে দলিল হচ্ছে-

আল্লাহ তা’য়ালার বাণী :

[ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ ][ التوبة : ১১]

‘আর যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই।’ [ সূরা তওবা: ১১]

রাসুলুল্লাহ (সা.) ﷺ-এর বাণী–

( الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ الصَّلاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ) (رواه الترمذي (২৬২১) . صححه الألباني في صحيح الترمذي)

‘আমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি হলো নামাজের। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করল, সে কুফরি করল।’

[জামে তিরমিযী (২৬২১), আলবানী ‘সহীহ আত-তিরমিযী’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলে চিহ্নিত করেছেন]

এই মতের পক্ষে সাহাবায়ে কেরামের ‘ইজমা’ সংঘটিত না হলেও সর্বস্তরের সাহাবীগণ এই অভিমত পোষণ করতেন।

প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাক্বিক রাহিমাহুমুল্লাহ বলেছেন: ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণ নামাজ ছাড়া অন্য কোনো আমল ত্যাগ করাকে কুফরি মনে করতেন না।’

যা আলোচনা করা হলো তার ভিত্তিতে বলা যায়, যদি কোনো ব্যক্তি রোজা রাখে কিন্তু নামাজ আদায় না করে তার রোজা প্রত্যাখ্যাত, গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে কোনো উপকারে আসবে না।
আল্লাহ তা’য়ালা নামাজ আদায় করার জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছেন। (ত্রুটি মাজনীয়)
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এ কে

Logo-orginal