, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

বর্ষা দিবস উদযাপন

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-১৪ ১৫:৪৫:০৯ || আপডেট: ২০১৫-০৬-১৪ ১৫:৪৫:০৯

Spread the love

গাজী জয়নাল আবেদীন,আরটিএমনিউজ২৪ডটকম
3চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ‘বর্ষা দিবস উদযাপন আষাঢ় ১৪২২’ উদযাপন উপলক্ষে ‘বৃষ্টির পানি ধারণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও আমাদের সম্ভাবনাময় পথচলা’ শিরোনামে এক আলোচনা সভা গত ১৩ জুন, শনিবার সকালে চট্টগ্রাম ওয়াসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন চুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মো. রফিকুল আলম,দুঃস্থ স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালক আফতাবুর রহমান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) রতন কুমার সরকার।
1

প্রমোটিং এনভায়রণমেন্টাল হেলথ ফর দ্যা আরবান পুওর ( পিহাপ) প্রকল্পের আয়োজনে সেমিনারে সুপেয় পানির চাহিদা পূরণে বৃষ্টির পানির যথাযথ ব্যবহারের ওপর জোর দেন আলোচকরা।
সেমিনারের প্রধান অতিথি চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কল-কারখানার বর্জ্য আর জনগণের অসচেতনতার ফলে কণর্ফুলী নদীতে এখন পানযোগ্য পানি ও মাছ নেই। কর্ণফুলী নদী, খাল, পুকুর, দীঘির মতো গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎস নষ্ট হওয়াতে চট্টগ্রামে এখন স্বাস্থ্যকর পানির যে অভাব দেখা দিয়েছে তা মেটানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ হতে পারে একটি স্বল্প ব্যয়ের সহজ সমাধান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন যতটুকু পানি আমরা ব্যবহার করি তার চেয়ে বেশি পানি আমরা অপচয় করি। নদী- নালা, লেক ও পুকুর ভরাট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক ইনফিলট্রেশনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন কমে যাচ্ছে। এতে করে পানির ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই হালদা এবং কর্ণফুলী রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে চট্টগ্রামবাসীকে পানির সমস্যায় ভুগতে হবে।
প্রো-ভাইস চ্যালেন্সর প্রফেসর মো. রফিকুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, পানি অফুরন্ত সম্পদ নয়, সীমিত সম্পদ। পানি সরবরাহের অবকাঠামো আমাদের দেশে অপ্রতুল তাই পানির গুরুত্ব অনুধাবন করে পানির উৎসগুলো পুনরুদ্ধার করার সাথে সাথে বিশ্বের অন্যন্য দেশের মত আমাদের দেশেও বৃষ্টির পানি ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
চুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার মূল প্রবন্ধে বলেন, বৃষ্টির পানি ধারণ ও সংরক্ষণ করার মাধ্যমে একদিকে যেমন শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পানির ব্যবস্থা করা যায় যা কিনা বিদ্যমান লবনাক্ততার মাত্রা দূরীভূত করে অন্যদিকে বৃষ্টিজনিত নগরে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তা অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে। উক্ত প্রবন্ধে বর্তমানে চুয়েটে চলমান অন্যান্য সংশ্লিষ্ট গবেষণা যেমন-জলাবদ্ধতা, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাওয়া, কর্ণফুলী নদীর লবনাক্ততা বৃদ্ধি এবং নদী ভাঙ্গন সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

Logo-orginal