n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৬-১১ ১১:৩৯:০২ || আপডেট: ২০১৫-০৬-১১ ১১:৩৯:০২
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,আরটিএমনিউজ২৪ডটকম
গাজী জয়নাল আবেদীন,রাউজান (চট্টগ্রাম) : রাউজানে এক ইউপি মেম্বার মিথ্যা সনদ দিয়ে এক বৃদ্ধার ছয়মাসের বয়স্কভাতা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু বয়স্ক ভাতা আত্মসাৎ করে ক্লান্ত হননি মেম্বারটি বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত বৃদ্ধা মনজুরা খাতুন যাতে আর বয়স্ক ভাতা না পায় সেই জন্য মারা গেছেন বলে সমাজ সেবা অফিসে মিথ্যা মৃত সনদ দিয়ে বয়স্ক ভাতাও বন্ধ করে দিয়েছে।
অভিযুক্ত উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার আবুল মনসুর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাম্বোক্তি করে বলেন মনজুরা খাতুনের বয়স্ক ভাতা আমি খেয়ে ফেলেছি পত্রিকায় নিউজ করে দিয়েন।
স্থানীয়রা জানান, রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী মনজুরা খাতুনের (৮০) কোন ছেলে সন্তান নেই। এক মাত্র কন্যা সন্তান আমেনাও মারা গেছেন। বর্তমানে বৃদ্ধা মনজুরা খাতুন প্রতিবেশীদের সাহায্য সহায়তায় জীবন বাচিঁয়ে রেখেছে। গত ১০বৎসর পুর্বে থেকে তিনি বয়স্কভাতা পেয়ে আসলেও গত ছয়মাস ধরে তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেনা।
বৃদ্ধা মনজুরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ছয়মাস পুর্বে এলাকার স্থানীয় মেম্বার আবুল মনসুর তার কাছ থেকে বয়স্কভাতার বইটি নিয়ে নেয়। মেম্বার আমার কাছ থেকে বয়স্কভাতার বইটি নিয়ে আর ফেরৎ দেয়নি। আমি বইটি ফেরৎ না পেয়ে রাউজান উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ও রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশনের জনতা ব্যাংকের শাখায় গেলে তারা বলেন মনজুরা খাতুন মারা গেছেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকতার আলম ভুলু পত্র দিয়ে জানানোর পর বয়স্কভাতা প্রাপ্ত মারা যাওয়ার তার ছয়মাসের ভাতা টাকা স্থানীয় মেম্বার আবুল মনসুর তুলে নিয়ে গেছে। এই কথা শুনে বৃদ্ধা মনজুরা খাতুন কাদঁতে কাদঁতে বাড়ীতে চলে আসেন বলে বলে মনজুরা খাতুন জানান।
এ ব্যাপারে ৭নং রাউজান ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকতার আলম ভুল জানায়, চৌকিদার হাবিবের দেওয়া তথ্য মতে মনজুরা খাতুন মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে মনজুরা খাতুন মারা গেছেন বলে সমাজ সেবা কার্যলয়ে পত্র দেওয়া হয়। পরে যখন জানতে পারি মনজুরা খাতুৃন বেচেঁ আছেন তাকে পুণরায় বয়স্কভাতা তালিকায় অন্তভুক্ত করে নাম দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ৭নং রাউজান ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড সুপারভাইজার নেসার উদ্দিনের কাছে ফোন করে জানেতে চাইলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবুল মনসুর ভুল করে মনজুরা খাতুন মারা গেছেন বলে সমাজ সেবা অফিসে জানানোর পর মনজুরা খাতুনের বয়স্কভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।