, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করেছে

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-১৯ ১৫:৫৪:১৫ || আপডেট: ২০১৫-০৬-১৯ ১৫:৫৪:১৫

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গদের একটি গির্জায় ঢুকে নয় জনকে গুলি করে হত্যার পর এক শ্বেতাঙ্গ যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ খুঁজছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করেছে।

এই ঘটনাকে বর্ণবাদী হত্যাকাণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শহরের একটি ঐতিহাসিক গীর্জায় প্রার্থনার সময় ঐ হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গির্জার যাজকও রয়েছেন।

রেভারেন্ড পিঙ্কনি রাজ্য আইনসভার একজন সদস্য এবং সম্প্রতি সেখানে পুলিশের গুলিতে একজন কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর পর পুলিশের সংস্কারের দাবিতে এক আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

চার্লসটনের আফ্রিকান-অ্যামেরিকান গির্জায় যখন এই হামলা হয়, তখন সেখানে এক প্রার্থনা সভায় জড়ো হয়েছিলেন বেশ কিছু মানুষ। গুলিবর্ষণের ঘটনার পরপরই পুলিশ ডাকা হয়।

গির্জার ভেতরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায়, ভেতরে আটজনের মৃতদেহ পড়ে আছে। আহত আরো একজন পরে হাসপাতালে মারা যায়।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী বিশ-পঁচিশ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ যুবক এই হামলা চালায়। এটি একটি বর্ণবাদী হামলার ঘটনা বলেই পুলিশ সন্দেহ করছে এবং তদন্ত সেই পথেই অগ্রসর হচ্ছে।

চার্লসটনের মেয়র জো রাইলি বলেন, একটি গির্জার ভেতর এই হামলা অবিশ্বাস্য।

তিনি বলেন , এটা এক অবর্ণনীয় এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্রার্থনায় যোগ দিতে আসা মানুষকে যেভাবে একটা লোক এসে হত্যা করলো, তা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে অসহিষ্ণু এবং অবিশ্বাস্য এক ঘটনা।

যে নয়জন এই হামলায় নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন গির্জার যাজক ক্লিমেনটে পিংকনি। তিনি একই সঙ্গে সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্য সিনেট সভারও সদস্য ছিলেন।

সম্প্রতি সাউথ ক্যারোলাইনায় পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।
তার আন্দোলনের মুখেই সাউথ ক্যারোলাইনায় পুলিশের শরীরে ক্যামেরা পরা বাধ্য করা হয়।

পুলিশ ইতোমধ্যে হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ যুবকের ছবি প্রকাশ করেছে। চার্লসটনের পুলিশ প্রধান গ্রেগরি মালেন বলেছিলেন, এই যুবককে দেখা মাত্র পুলিশে খবর দেয়ার জন্য।

চার্লসটনের পুলিশ প্রধান বলছেন, এই সন্দেহভাজন বা তার গাড়িটি যারাই দেখবেন, তারা যেন সাথে সাথে পুলিশকে ফোন করেন।

আমেরিকার দক্ষিণের সবচেয়ে পুরনো গির্জার একটি হচ্ছে এই মেথডিষ্ট চার্চ। এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ডেনমার্ক ভেসির নেতৃত্বে ১৮২২ সালে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসরা বিদ্রোহ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং ১৯৬২ সালে এই চার্চে এসে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই এরকম একটি ঐতিহাসিক চার্চে এই সন্দেহভাজন বর্ণবাদী হামলা স্থানীয়দের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। আরটিএম/এ কে,
সূত্র: বিবিসি

Logo-orginal