, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল শুনানিতে আইওর জেরা পড়া হচ্ছে

প্রকাশ: ২০১৫-০৬-২৪ ১৫:২৩:০১ || আপডেট: ২০১৫-০৬-২৪ ১৫:২৩:০১

Spread the love

Saka chy

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ঢাকা :  মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে।

বুধবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইওর) জেরা ও এ মামলার তিন-চারজন স্বাক্ষির সাক্ষ্য আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে।

পরবর্তি দিনেও এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এএসএম শাহজাহান।

 

আজ ৬ষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হচ্ছে। এ আপিলের শুনানি আবার কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো নির্দিষ্ট করে দেয়নি আদালত। এ মামলাটি কার্যতালিকায় আবার যেদিন আসবে সেদিন এটির ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সাকার আইনজীবী।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ করা হয়।

আদালতে আইওর জেরা পড়ে শোনান এএসএম শাহজাহান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ১৬ মে আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

৬ষ্ঠ দিনের শুনানিতে এ মামলায় আইওর জেরা ও তিন চারজনের স্বাক্ষির সাক্ষ্য আদালতে পড়ে শোনানো হয়।

ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রে বিভিন্ন ডকুমেন্টসহ ২৭টি গ্রাউন্ড রয়েছে।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃতাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে (অভিযোগ নং- ৩, ৫, ৬ ও ৮) তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়া তিনটি (অভিযোগ নং-২, ৪ ও ৭) অভিযোগে তাকে ২০ বছরের ও দুটি (অভিযোগ নং- ১৭ ও ১৮) অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় বসেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন সালাউদ্দি কাদের চৌধুরী। হাসিমুখে একবার বলেছিলেন, ‘যেটা পড়া হয়নি সেটা পড়েন, পড়ে চলেন বাড়ি যাই।’

বাকি অভিযোগগুলো প্রমাণিত না হওয়ায় সেসব অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।

২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়।

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal