, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আমার চেয়ে বড় মুসলমান কে, গাফ্ফারের দম্ভোক্তি

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-০৬ ১৪:৪৫:০৫ || আপডেট: ২০১৫-০৭-০৬ ১৪:৪৫:০৫

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম ইন্টাঃ ডেস্ক :   ইসলাম নিয়ে নানা কটূক্তির পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় নিজের বক্তব্যর ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রবীণ প্রবাসী সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী।

ম্যানহাটনে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধির বাসায় নিউ ইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশনে রবিবার তিনি বক্তব্য দেন।

সেখানে আবদুল গাফফার চৌধুরী দাবি করেন, ‘না বুঝেই আমার একাডেমিক বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ওইদিনের বক্তব্যে আমি ইসলামবিরোধী কোনো কথা বলিনি।’

তিনি বলেন, ‘একাডেমিক সেমিনারে আমি আমার বক্তব্য ব্যাখ্যা দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। বিএনপি-জামায়াতিরা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে।’

এ সময় আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিরোধিতাকারীরা আমার পুরো বক্তব্য না শুনেই এমনটি করছেন। তাদের আমি বলতে চাই- আপনাদের মধ্যে আমার চেয়ে বড় মুসলমান কে?’

এদিকে, প্রবাসে আবদুল গাফফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার জ্যামাইকার তাজমহল পার্টি হলে পূর্বনির্ধারিত তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনার খবর পেয়ে জ্যামাইকার তাজমহল পার্টি হলে জড়ো হন প্রবাসী আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রতিবাদের মুখে আবদুল গাফফার চৌধুরীর সংবর্ধনার স্থান পরিবর্তন করেন আয়োজকরা।

তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘গাফফার চৌধুরী অসুস্থ হওয়ায় তিনি অনুষ্ঠানে আসছেন না। ব্রুকলিনের সভায় অংশ নেবেন।’

তাজমহল পার্টি হলের অন্যতম মালিক মাসুম খান বলেন, ‘আমরা এখানে ব্যবসা করতে বসেছি। রাজনীতি নয়। অনুষ্ঠান ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় তা বাতিল করেছি।’

 

এছাড়া বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডসের ৪৯০ নম্বর ভবনেও আবদুল গাফফার চৌধুরীকে দেয়া সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল পণ্ড করে দিয়েছে স্থানীয়রা।

 

সেখানে আবদুল গাফফার চৌধুরী পৌঁছলে তাকে জুতা প্রদর্শন করা হয়। এ সময় গাফফার চৌধুরী একটি গাড়িতে বসেছিলেন। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।

 

তবে সেখানে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ করি। ধর্মকে অসম্মান করা আমাদের কাজ নয়।’

 

তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের নামে আলোচনা সভা ডেকে জ্যামাইকার তাজমহল আর ব্রুকলিনে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করল তারা কারা? তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

 

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পবিত্র হজ আর ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অতি কাছের আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। আল্লাহ ও ধর্ম নিয়ে কেউ কথা বললে তার পক্ষে আওয়ামী লীগের থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

 

‘আবদুল গাফফার চৌধুরী আল্লাহ এবং ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কিছু বলে থাকলে তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান সিদ্দিকুর রহমান।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মিশনে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে আল্লাহ, ইসলাম, মহানবী (সা.) ও নারীর পর্দা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

 

এরপর দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো তাকে মুরতাদ ঘোষণা করে ফাঁসি দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও যে ফুঁসে উঠেছেন, তাই রবিবার দেখলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal