, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার স্মারক-চিহ্ন সংগ্রহে ডিসিদের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-৩০ ১১:৪৫:৫৮ || আপডেট: ২০১৫-০৭-৩০ ১১:৪৫:৫৮

Spread the love

Enu

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা:   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য বঙ্গবন্ধুর পদচারণার স্মারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামের চিহ্ন সংগ্রহের জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু একথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। এ দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনকে জাগরণ যাত্রা শুরু ও বাংলাদেশকে পুনরায় আবিষ্কার করার জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু কোথায় কীভাবে পদচারণা করেছেন, সেই সব চিহ্ন ও তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জনের স্মারক ও চিহ্নগুলো, বাংলাদেশের উদ্ভবের দীর্ঘ রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক যুদ্ধের সংগ্রাম এবং সেই সংগ্রামের চিহ্ন ও তথ্য-উপাত্তগুলো এখন থেকে সংগ্রহ শুরু করা উচিত বলে মনে করি।

যাতে তথ্য-উপাত্তের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী আমরা এমনভাবে উদযাপন করব, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুনভাবে আবিষ্কার করব, চিনব এবং সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রেরণা লাভ করব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

মাঠ পর্যায়ে সমস্যা ও প্রস্তাবনা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুগ পাল্টেছে। গণমাধ্যম চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর যারা প্রশাসনে রয়েছেন তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে।

অতীতে যেমন নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হতো, এখন গণমাধ্যম চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকদেরকে গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। এজন্য প্রশাসনকে গণমাধ্যমবান্ধব হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপে প্রশাসনকে কাঁচের ঘরের ভিতরে স্থাপন করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানে সব কিছু দেখা যায়। সুতরাং যারা জেলা প্রশাসনে রয়েছেন তাদেরকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনকে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। অপরদিকে তথ্যসন্ত্রাস ও অপসাংবাদিকতা রুখে দিতে হবে।

উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও সংষ্কৃতির সুস্থ বিকাশে প্রশাসন সবরকম সহায়তা দেবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তথ্য আইন প্রয়োগের ব্যাপারে সমস্যা ছিল, সেগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

সকালে প্রথম অধিবেশনে তথ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal