, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রদায়গত লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র শিয়াদের পক্ষ নিয়েছে

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-১৬ ১৭:১৮:৪৭ || আপডেট: ২০১৫-০৭-১৬ ১৭:১৮:৪৭

Spread the love

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম,ডেস্ক: ভিয়েনা চুক্তির কারণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিবি নেতানিয়াহু এবং উপসাগরের সুলতানরা যত ক্রুদ্ধই হোন না কেন, আরবরা নিদেনপক্ষে সত্যটা অনুমান করতে পেরেছে যে মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রদায়গত লড়াইয়ে আমেরিকানরা

শিয়া মুসলমানদের পক্ষ নিয়েছে। তা অবশ্যই এ নয় যে এটা কিভাবে বড় ও ভালোর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব পেল।

শিরোনামগুলো ছিল সাদামাঠা।

ইরানিরা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির গতিতে ব্রেক কষতে, এক দশকের জন্য সেন্ট্রিফিউজগুলো গুটিয়ে নিতে ও ইউরেনিয়াম মজুত হ্রাস করতে সম্মত হয়েছে। আর সবই করা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার অবসান, আর্থিক সম্পদ ছাড় ও ব্যাংক লেনদেন চালুর বিনিময়ে যা ওয়াশিংটন, ইইউ ও বয়োবৃদ্ধ জাতিসংঘ নানা ভাবে আরোপ ও স্থগিত করে রেখেছে। ইরানিদের প্রতি পর্যাপ্ত আগাম হুঁশিয়ারিসহ বা ছাড়াই আই এ ই এ-র লোকজন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে সক্ষম হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমাদের সময়ে এটাই ছিল শান্তি।

ওবামার উত্তরাধিকারের কথা এবং ৮০ পৃষ্ঠা চুক্তির বিষয়, ফারসিতে ১০০ পৃষ্ঠা, ভুলে যান। কারণ, ইরান এখন উপসাগরের পুলিশম্যান হিসেবে মৃত শাহের ভূমিকা পালনের পথে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূমিকম্পবিদদের ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।

একটি ‘অধিকতর আশাব্যঞ্জক পৃথিবী …অন্য পথে চালিত হওয়ার সুযোগ’ স্লোগানটি হোয়াইট হাউসে রুজভেল্ট ও জর্জ ওয়াশিংটনের উত্তরসূরিদের বিস্মিত করেছে। যদি কংগ্রেসের ঝামেলা পাকানো লোকরা গোটা বিষয়টি ভেঙ্গেচুরে ফেলতে চায়, প্রেসিডেন্ট ওবামা খুব সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ব্যবস্থায় তিনি ভেটো দেবেন। এটা আশ্চর্য নয় যে প্রেসিডেন্ট রুহানি তার খুতবায় বলবেন যে গঠনমূলক আলোচনা ফল দেয়।

যাহোক, সুন্নী মুসলিম দেশগুলোর ব্যাপক প্রভাবকে বিদায় যা তাদের সন্তানদের দিয়ে ৯/১১-র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন করিয়েছিল এবং বিশ্বকে ওসামা বিন লাদেনকে প্রদান করেছিল যা তালিবান এবং পরে ইরাক ও সিরিয়ার সুন্নী ইসলামপন্থীদের সমর্থন করেছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিদায় সে সব আমির ও প্রিন্সদের যারা আই এসকে সমর্থন করেন।

ওয়াশিংটন উপসাগরের অকর্মণ্য প্রিন্সদের নিয়ে, তাদের গোঁড়া মনোভাব নিয়ে, তাদের ক্লান্তিকর সম্পদ (যতক্ষণ না তা দিয়ে অস্ত্র কেনা হচ্ছে) নিয়ে এবং ইয়েমেনে তাদের নোংরা গৃহযুদ্ধ নিয়ে অসুস্থ ও ক্লান্ত।

শিয়া ইরান হচ্ছে এ অঞ্চলে এখন সবচেয়ে ভালো দেশ।তাদের উপস্থিতি বিভ্রান্তিকর। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের মধ্যকার খ্যাপাটে অংশ, ইসরাইলি মন্ত্রীসভার খ্যাপাটে অংশ এবং মার্কিন কংগ্রেসের খ্যাপাটে অংশ বিষয়টি বানচালের চেষ্টা করবে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় আছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরান আলোচনার জন্য ১৮ দিন ভিয়েনায় কাটিয়েছেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তার যে কোনো পূর্বসূরীর চেয়ে তিনি বেশী সময় দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে বেচারা এডওয়ার্ড স্টেটিনিয়াসের কথা যিনি জাতিসংঘ সনদ প্রণয়নের জন্য স্যানফ্রন্সিসকো সম্মেলনে প্রায় দু’মাস অতিবাহিত করেন।

ইয়াল্টা সম্মেলন আট দিন, পটসডাম সম্মেলন ১৭ দিন চলেছিল।তবে অন্যান্য ব্যাপারও আছে। সিরিয়া ও আসাদ সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে যারা আলোচনা করবে কোনো সন্দেহ নেই তাদের শীর্ষে থাকবে ইরান।

তার গার্ড কোর ও লেবাননের হেজবুল্লাহ মিত্ররা ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে লড়াই করছে। ইরান সন্তর্পণে চেষ্টা করবে আসাদ সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে রাজি করাতে যদি তারা ওয়াহাবি ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) ধ্বংস করতে চায় যেমনটি ইরান করছে। আরব সূত্রদের মধ্যে যারা অবশ্যই সত্য জানেন তারা বলছেন যে মেসার্স কেরি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ ভিয়েনায় এ বিষয়ে আলোচনায় বহু সময় কাটিয়েছেন।

সম্ভবত সে কারণেই আলোচনায় এত সময় লেগেছে। আমরা কি দামেস্কে শ্যাম্পেনের গ্লাসের টুংটাং শুনেছেন।অবশ্যই আতংকজনক, রক্তপিপাসু, রহস্যময় সুন্নী মুসলিম সংগঠন আইএসও ইরানের নয়া চুক্তিতে নেতানিয়াহুর মতই বিমূঢ়। আইএস ইরানকে বরাবরই ধর্মবিরোধী, মুরতাদ রাষ্ট্র বলে মনে করে। তারা ইরানের আগ্রাসনেরও নিন্দা করে।

নেতানিয়াহু আমাদের কি বলেন? তিনি বলেছেন, ইরান এখন তার আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে। বিবি ও আইএস এখন বইয়ের একই পাতায়, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও।

সউদী আরবও ইরান সম্পর্কে একই মনোভাব পোষণ করে। সউদী রাজপরিবারের একজন সদস্য ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে সাপের মাথা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।এ কেরিই কি কয়েকমাস আগে পুরনো ফিলিস্তিন-ইসরাইল সমস্যা সমাধানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যাননি? এখন যে সময় তাতে আর হতাশার শিকার এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করছে না।
ভিয়েনাতে গত আড়াই সপ্তাহে একটি শব্দই শুধু উচ্চারিত হয়নি তা হল ফিলিস্তিন। সূত্র ঃ দি ইন্ডিপেনডেন্ট।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এ কে

Logo-orginal