, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

রাজন চোর ছিল না: স্বীকারোক্তি গ্রেপ্তার আয়াজের

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-২৮ ১৮:৫০:৫২ || আপডেট: ২০১৫-০৭-২৮ ১৯:৩৯:৪৬

Spread the love

শিশুর রাজন

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সিলেট: সিলেটে পৈশাচিক নির্যাতনে নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন চোর ছিল না বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আয়াজ আলী।

 

 

 

মঙ্গলবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি কথা জানান।

 

 

 

এর আগে, বেলা আড়াইটায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আয়াজকে মহানগর মুখ্যহাকিম প্রথম আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শাহেদুল করিম বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

 

 

 

আয়াজ আলী তার জবানবন্দিতে বলেন, ‘শিশু রাজন চোর ছিল না। সে ভ্যানগাড়িতে উঠে খেলছিল। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন শিশুও খেলা করছিল। চৌকিদার ময়না প্রথমে তাকে চোর বলে ধরে এনে বেঁধে রাখেন।’

 

 

 

জবানবন্দিতে তিনি আরো বলেন, ‘রাজনকে রশি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বাঁধতে সহযোগিতা করি আমি। আর কামরুলসহ ওরা সবাই নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। পরে কামরুলের ভাই মুহিত লাশ গুম করতে নিয়ে যায়।’

 

 

 

নির্যাতনের এক পর্যায়ে স্থান পরিবর্তন করা হয়। সে স্থানেও রাজনকে তিনি খুঁটির সঙ্গে বাধতে সাহায্য করেন বলে জবানবন্দিতে জানান আয়াজ।

 

 

 

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, মঙ্গলবার তিনদিনের রিমান্ড শেষে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আয়াজ আলীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

 

 

 

 

গত শনিবার ভোরে সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়া এলাকা থেকে আয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়। আয়াজ সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার জাহাঙ্গীরগাঁও এলাকার মোস্তফা আলীর ছেলে। তিনি সিলেট শেখপাড়ায় বসবাস করতেন।

 

 

 

এদিকে এ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা অপর আসামি বাদলকে আদালতে হাজির করা হলে তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন একই আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম।

 

 

 

 

গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা। বাদল শেখপাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।

 

 

 

 

গত ৮ জুলাই সামিউল আলম রাজনকে সিলেট নগরের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পাশে চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করেন মুহিত আলম, তার ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও তাদের সহযোগী চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না।

 

 

 

হত্যার পর মাইক্রোবাসে করে মরদেহ গুম করার চেষ্টাকালে মুহিত আলমকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় জনতা। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হলে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।

 

 

 

 

অবস্থা বেগতিক দেখে সৌদি আরবে পালিয়ে যান হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কামরুল ইসলাম। পরে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।

 

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

 

Logo-orginal