, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

Avatar Arfat

সাংবাদিক আবু সায়েম হত্যার এক সপ্তাহেও রহস্য উদঘাটন হয়নি

প্রকাশ: ২০১৫-০৭-১৫ ১৭:৩৪:১৮ || আপডেট: ২০১৫-০৭-১৫ ১৭:৩৪:৫৩

Spread the love

সাংবাদিক

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু সায়েম হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি।

মামলার আসামিরা রয়েছে ধোরা-ছোঁয়ার বাইরে। দুইজন আসামির মধ্যে পুলিশ এখনও এ হত্যাকাণ্ডের একজন মাস্টার মাইন্ডেড আসামিকে আটক করতে পারেনি।  অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে এখন আতঙ্কিত এ জনপদের সাংবাদিকরা। নিজেদের নিরাপত্তা ও সায়েম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে সাংবাদিকদের।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু সায়েম (৩৫) গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।

আহত সায়েমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে গত বুধবার বেলা পৌনে চারটার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত সাংবাদিক আবু সায়েম জীবননগর পিয়ারাতলার আবুল খায়ের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।  ব্যক্তি জীবনে সাংবাদিক সায়েম রুদ্র (৬) ও রনক (৪) নামের দুই সন্তানের বাবা ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন।

সায়েমের অকাল মৃত্যুর খবরে গোটা জেলায় সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। কি কারণে বা কি উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ।

এদিকে জীবননগরে কর্মরত সাংবাদিকরা এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছে। এ ঘটনার পর থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

সাংবাদিক সায়েম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি সায়েমের মা-বাবা ও সহকর্মীদের।

জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল কবির বলেন, “সহকর্মী সায়েম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা সোচ্চার আছি। এখন মিছিল-মিটিং, মানববন্ধন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছি। খুনিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম আর বাবু বলেন, “সায়েম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন গড়িমশি করছে। এক সপ্তাহ হয়ে গেল আজও এ খুনের রহস্য বের করতে পারেনি পুলিশ। আসামিদের ধরতেও পারেনি। মামলাটি সিআউডিতে হস্তান্তরের করা দরকার।”

এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক আবু সায়েমের স্ত্রী আফরোজার খাতুন রেশমা জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি আট ইঞ্চি ধারালো ছুরি ও একটি লাল সালু কাপড় উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সাংবাদিক আবু সায়েমের হত্যাকারী ঘাতক রাজিব (৩২) কে মঙ্গলবার রাতেই আটক করে। সে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে। আদালত বুধবার থেকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঘাতক রাজিবের।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই লুৎফুল কবির জানান, এক নং আসামির রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে সাংবাদিক সায়েমের খুনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এছাড়াও এ মামলার দুই নং আসামি জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিবলু (৩০) কে গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান জানান, সাংবাদিক সায়েম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু বেরিয়ে আসবে এবং এর সঙ্গে জড়িতরা ধরা পড়বে।

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

 

Logo-orginal