n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৮-০২ ২০:৩৩:২৭ || আপডেট: ২০১৫-০৮-০২ ২০:৩৩:২৭
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম,নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর নূর হোসেনের শূণ্য ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে নুর হোসেনের সহযোগী আরিফুল হক হাসান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। লাটিম প্রতীক নিয়ে পাঁচটি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৩৩৭ ভোট। ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ওলামালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯৭ ভোট। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তার চাচাতো ভাই সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে ছোট নজরুল।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০২ নং শিমরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৯৮৪ ভোট। ঘুড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭২ ভোট। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। শিমরাইল দারুছুন্নাত নেছারিয়া ছালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাটিম প্রতীকে আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৭৮৩ ভোট। ঘুড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ১০২ ভোট। পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় নারী কেন্দ্রে লাটিম প্রতীকে আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৩৭৫ ভোট। ঘুড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮৪ ভোট।
ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ৭৪৯ ভোট। পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় ডিএনডি প্রকল্প পুরুষ কেন্দ্রে লাটিম প্রতীকে আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৪০৭ ভোট। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ৯৪২ ভোট। ঘুড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৪১ ভোট। উত্তর আজিবপুর ৯৭ নং সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে লাটিম প্রতীকে আরিফুল হক হাসান পেয়েছেন ৭৮৮ ভোট। ঘুড়ি প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমির হোসেন ভান্ডারী পেয়েছেন ৪৫৬ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে গণনাও সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য রোববার সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে চলে ভোট গ্রহণ। সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল, আটি, ওয়াপদা কলোনী, উত্তর আজিবপুর ও আওলাবন এলাকা নিয়ে নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ১০৬ জন। তার মধ্যে প্রায় ৫৯ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। উপ নির্বাচনে ৫টি কেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। ৫টি কেন্দ্রের প্রতিটিতেই ছিল একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া কেন্দ্রের ভেতরে ছিল ১২ জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসার সদস্য।
এক প্লাটুন বিজিবিও নিয়োজিত ছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের ৩টি মোবাইল টিমও কেন্দ্রগুলোতে পর্যবেক্ষনে ছিল। র্যাব-১১ এর ৪টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। ইপিবিএন এর একটি টিমও ছিল নিরাপত্তায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা ও পুলিশ সুপার ডঃ খন্দকার মহিদউদ্দিনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এন এ কে