, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Arfat

কোরবানির জন্য মজুদ ১ কোটি গরু-ছাগল-মহিষ

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-৩১ ২০:৫৪:১৯ || আপডেট: ২০১৫-০৮-৩১ ২০:৫৪:১৯

Spread the love

eid

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা : আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য গরু ছাগলের কোনো সঙ্কট তৈরি হবে না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কোরবানি উপযোগী ৩০ লাখ গরু-মহিষ ও ৬৯ লাখ ছাগলের মজুদ রয়েছে। এটা চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কোরবানীর ঈদের পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন কোরবানিতে গরু-ছাগলের কোনো সঙ্কট হবে না বলে আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি। চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু দেশে মজুত রয়েছে। গত রমজানের মতো সারা বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো।’

ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমাদের জন্য ভালো। আমরা সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই, উল্টো গরু-ছাগল রপ্তানি করতে চাই। বর্তমানে দেশে ৩০ লাখ গরু-মহিষ ও ৬৯ লাখ ছাগল আছে।’

পিঁয়াজের দাম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পিঁয়াজের যে সঙ্কট ছিল তা দূর হয়েছে। আশা করি কোনো সঙ্কট হবে না।’

সভায় উপস্থিত ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাতলুব আহমাদ পিঁয়াজের দর স্বাভাবিক রাখতে চাষীদের প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, ‘মাত্র দুই থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানি করতে হয়। চাষীদের প্রণোদনা দিলে আমাদের চাষ বাড়বে। এমনটি হলে একসময় আমদানি করতে হবে না।’ তিনি মরিচের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা যায় কি না খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন।

জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের চাষীদের রক্ষা করতে এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এখন প্রত্যাহার করলে অন্য সময়ে দেশের চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

কারওয়ান বাজার আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মরিচের দাম বেশি। দুই-তিনদিনের মধ্যে এটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবার সঙ্গে একমত হয়ে মন্ত্রী মরিচের শুল্ক প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত দেন। তবে তিনি ব্যাপারটি মাথায় রেখে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ে ব্যবসায়িদের সহযোগিতা করতে বলেন।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম ইকবাল, অতিরিক্ত সচিব ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) নাজনিন বেগম, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেসি, অতিরিক্ত সচিব জহির উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমেদ, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যানএম এ কামাল, মেঘনা গ্রুপের এমডি মোস্তফা কামালসহ, কামদানি কারক, পাইকাররি ও খচড়া বিক্রেতার নেতৃবৃন্দ, জাতীয় গোয়েন্দ সংস্থা, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এন এ কে

Logo-orginal