, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

ক্ষত বিক্ষত মিরসরাইয়ের অর্ধশত গ্রামীণ সড়ক,সংস্কারের উদ্যোগ নেই

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-১৭ ১৪:৫১:০৩ || আপডেট: ২০১৫-০৮-১৭ ১৪:৫১:০৩

Spread the love

এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই প্রতিনিধি

Mirsarai Sodok Picআরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রাম: এবারের টানা প্রবল বর্ষনে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে মিরসরাইয়ের অর্ধশত গ্রামীণ সড়ক। এতে করে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। অধিকাংশ পাকা সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ সড়কই খানা-খন্দে ভরা। সড়কের পিচ উঠে রঙিন বর্ণ ধারণ করেছে। রঙিন কাদা মেখে পথ চলতে হয় পথচারীদের। ইট-খোয়ার রঙিন বর্ণ দখল করেছে কালো পিচঢালা সড়কগুলো। উঠে গেছে কংক্রিট। অনেক স্থানে পাকা সড়কের কোন চিহ্নও নেই। পুরো সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। অতিবৃষ্টির পর দেখলে মনে হবে একটি ছোট খাল। আর এ কারণে প্রতিদিনই ঘটছে কমবেশি সড়ক দুর্ঘটনা।

 

 

 

এগুলোর মধ্যে হাইতকান্দি-গজারিয়া সড়ক, সমিতিরহাট-ভূঁইয়ারহাট সড়ক, ভোরের বাজার-গজারিয়া সড়ক, ওয়াহেদপুর হাবীব উল্লাহ ভূঁইয়া সড়ক, নিজামপুর রেল ষ্টেশন সড়ক, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক, বামনসুন্দর-রহমতাবাদ সড়ক, নিজামপুর ভোরেরবাজার সড়ক, সমিতিরহাট-গজারিয়া সড়ক, বারইয়ারহাট- জোরারগঞ্জ থানা সড়ক, দূর্গাপুর কাটাছরা সড়ক, মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়ক, খিল হিঙ্গুলী সড়ক, মায়ানী সড়ক, আবুতোরাব-আনন্দেরহাট সড়ক, আবুতোরাব- চৎশরত, হাবিলদারবাসা-অলিনগর সড়ক সহ প্রায় অর্ধশত সড়ক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়ক গ্রামবাসী স্বেচ্চাশ্রমে সংস্কার করলেও অধিকাংশ সড়ক এখনো যাতায়াতের অনুপযোগী রয়েছে। সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 
সরেজমিনে হাইতকান্দি-গজারিয়া সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক গাড়ি চলাচল দুরের কথা পায়ে হাঁটা দুস্কর হয়ে পড়েছে। অথচ এ সড়কে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে।

 

 

 

প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এলজিইডি’র আওতায় মিরসরাই উপজেলায় মোট ১৩শ ৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৫৩২টি গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। মোট সড়কের ১হাজার ১৫ কিলোমিটারই কাঁচা। মোট পাকাকরণকৃত ৩শ ৬১ কিলোমিটারের মধ্যে অনেক সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গেচুরে খালে পরিণত হয়েছে।

 

 
মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম রাশেদুর রহমান বলেন, খুব বেশি খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়া উপজেলার ১৭টি সড়কের ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর পাকাসড়ক মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি। বর্তমানে নতুনভাবে বিভিন্ন সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরনের কাজ চলছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৩টি কাঁচা সড়ক পাকাকরনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আরো ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ১০টি রাস্তা পাকাকরণের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।

 

 
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, মিরসরাইয়ের সাংসদ গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরির্তন হয়েছে। এমপি হিসেবে সরকারীভাবে বরাদ্ধ পাওয়া ২০ কোটি টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অবশিষ্ট থাকা গ্রামীণকাঁচা সড়কগুলো শীঘ্রই পাকাকরণ করা হবে।

 

 

 

Logo-orginal