Arfat
প্রকাশ: ২০১৫-০৮-০২ ১৩:২১:৩৯ || আপডেট: ২০১৫-০৮-০২ ১৩:২২:০৪
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ইন্টা: ডেস্কঃ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিমান অভিযানে জঙ্গি সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) ২৬০ সদস্য নিহত হয়েছে।
ব্যাপক পরিসরে পরিচালিত অভিযানে কট্টর বামপন্থী এ সংগঠনটির ৩৮০ থেকে ৪০০ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তুরস্ক ও উত্তর ইরাকের কুর্দিস্তানে সংগঠনটি সক্রিয়ভাবে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
তুরস্কের সংখ্যালঘু কুর্দি সম্প্রদায়ের অধিকতর অধিকার ও ক্ষমতার দাবি আদায়ে সংগঠনটি তুরস্কে গত ৩০ বছরে বহু হামলা চালিয়েছে এবং তাতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় বিমান অভিযানটি পরিচালিত হয়। পিকেকে’র ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৮০টি তুর্কি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাতোলিয়া জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৬০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং ৩৮০ থেকে ৪০০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কুর্দি-সমর্থিত বামপন্থী রাজনৈতিক দল পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) নেতা সেলাহাত্তিন দেমিরতাসের ভাই নুরেত্তিন দেমিরতাসও রয়েছেন।
সেলাহাত্তিন তার বড় ভাইয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমি জানিনা তিনি জীবিত না মৃত। তুরস্কে সম্প্রতি সহিংস বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনার পর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তবে এখন পর্যন্ত বিমান হামলা মূলত কুর্দি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে।
গত শুক্রবার ২৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে পিকেকে’র বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগারসহ ৬৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। বিমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্ক সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এদিকে এতো ব্যাপক পরিসরে তুরস্কের এ অভিযানে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
৩০ বছরেরও বেশি আগে কট্টর বামপন্থী পিকেকে সংগঠনটি তুরস্কের সংখ্যালঘু কুর্দি সম্প্রদায়ের অধিকতর অধিকার ও ক্ষমতার দাবিতে বিদ্রোহী আন্দোলন শুরু করে।
সংগঠনটির হামলায় তুরস্কে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি