, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Avatar Arfat

প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-০৫ ১২:০০:১৭ || আপডেট: ২০১৫-০৮-০৫ ১২:০০:১৭

Spread the love

মতিউর

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা:    ঝিনাইদহ আদালতে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মানহানির অভিযোগ এনে এই মামলা দুটি করেছেন জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকিমুল ইসলামের ছেলে তানভির আহম্মেদ ও সাব্দালপুরের যুবলীগ কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ আমলি আদালতের (কোটচাঁদপুর) বিচারিক হাকিম মো. সাজ্জাদ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

মতিউর রহমানের সঙ্গে প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আজাদ রহমান ও কোটচাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়।

ভর্তুকির টাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ১৫টি কলের লাঙল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম আলোর সম্পাদক এবং পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও স্থানীয় একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আটটি মানহানির মামলা করা হয়।

মামলাগুলোর বাদী কলের লাঙলের জন্য নির্বাচিত স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

আর প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আজাদ রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য ধারায় পৃথক দুটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।

এর একটির বাদী কলের লাঙলের ডিলার, অন্যটির বাদী একজন যুবলীগ কর্মী। এর মধ্যে মানহানির দুটি মামলায় গতকাল পরোয়ানা জারি হলো।

প্রথম আলোর আইন কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকী জানান, গতকাল আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে কোনো সমন বিবাদীরা পাননি। মামলায় যে তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে, তাদের অফিস বা বাসস্থান কোথাও কোনো সমন গতকাল পর্যন্ত আসেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে প্রথম আলোয় ‘কলের লাঙলের ভর্তুকির টাকার সিংহভাগ সরকারি দলের নেতাদের পকেটে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই দিনই কৃষি মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

১৬ জুন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, প্রথম আলোর খবর অসত্য। পরদিন তিনি আবারও সংসদে বিবৃতি দেন।

এরপর প্রথম আলো পুরো বিষয়টি আবারও অনুসন্ধান করে।

তার ভিত্তিতে ২ জুলাই ‘প্রথম আলোর খবর অসত্য নয়, এখনো পাঁচজন লাঙল কেনেননি’ শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩ জুলাই আগের তদন্ত দল আবারও কোটচাঁদপুরে যায় এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে।

৫ জুলাই কৃষিমন্ত্রী সংসদে তৃতীয়বারের মতো বিবৃতি দেন। দুই দিন পর ৭ জুলাই কলের লাঙল বিক্রেতা আসাদুল ইসলাম প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও একজন স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন।

এরপর ১২, ১৩ ও ২৬ জুলাই যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাদী হয়ে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আটটি মানহানির মামলা করেন।

১২ জুলাই প্রথম আলোর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও স্থানীয় ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।

সর্বশেষ গতকাল এ বিষয়ে প্রথম আলো ‘কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা’ শিরোনামে সম্পাদক মতিউর রহমানের লেখা একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে। -প্রথম আলো

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal