, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

যে পোষাক পড়বে জান্নাত বাসীরা

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-২৪ ০০:০৯:৩৮ || আপডেট: ২০১৫-০৮-২৪ ০০:০৯:৩৮

Spread the love

al-quran slide
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ডেস্কঃ যে পোষাক পড়বে জান্নাত বাসীরা, এই বিষয়ে দেখে নিন কুরআন হাদীসের গুরুত্বপুর্ন কিছু দলিল ।

জান্নাতীদের পোশাকের বিষয় আল্লাহ তায়া‘লা বাণী,
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحاتِ إِنَّا لا نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلًا . أُولئِكَ لَهُمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهارُ يُحَلَّوْنَ فِيها مِنْ أَساوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَيَلْبَسُونَ ثِيابًا خُضْرًا مِنْ سُنْدُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُتَّكِئِينَ فِيها عَلَى الْأَرائِكِ نِعْمَ الثَّوابُ وَحَسُنَتْ مُرْتَفَقًا .
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার নষ্ট করিনা। তাদেরই জন্যে রয়েছে স্থায়ী জান্নাত যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেথায় তাদেরকে স্বর্ণ কংকনে অলংকৃত করা হবে, তারা পরিধান করবে সূক্ষ্ম ও স্থ’ল রেশমের সবুজ বস্ত্র ও হেলান দিয়ে বসবে সুসজ্জিত আসনে; কত সুন্দর পুরস্কার ও উত্তম আশ্রয়স্থল। (কাহ্ফ ৩০,৩১)।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍ وَلُؤْلُؤًا وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌ.
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেথায় তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা এবং সেথায় তাদের পোশাক-পরিচ্ছেদ হবে রেশমের। ( সূরা হাজ্জ- ২৩)।

al quran
সূরা ফাতিরের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার ঘোষণা হচ্ছে,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَلُؤْلُؤًا ۖ وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌ.
তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে স্বর্ণ নির্মিত কংকর ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছেদ হবে রেশমের। এখানে মনে হতে পারে যে, হাতে স্বর্ণের কংকন পরা নারীদের কাজ এবং এটা তাদেরই অলংকার। পুরুষদের জন্যে এটা ব্যবহার করা জায়েজ নয়। তেমনিভাবে রেশমের পোশাকও পুরুষদের জন্যে হারাম। তাহলে জান্নাতে তারা ব্যবহার করলে ব্যাপারটা কেমন হবে।

এর ফয়সালা আমরা পেতে পারি রাসূল সা:এর নি¤œ বর্ণিত হাদিসে-
عن أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الْآخِرَةِ ، وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَشْرَبْهُ فِي الْآخِرَةِ , وَمَنْ شَرِبَ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ لَمْ يَشْرَبْ بِهِمَا فِي الْآخِرَةِ ثُمَّ قَالَ لِبَاسُ أَهْلِ الْجَنَّةِ , وَشَرَابُ أَهْلِ الْجَنَّةِ , وَآنِيَةُ أَهْلِ الْجَنَّةِ .
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। রাসূল সা: বলেছেন: যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে, সে পরকালে তা পরিধান করতে পারবে না। যে দুনিয়াতে মদ পান করবে, পরকালে তা থেকে সে বঞ্চিত হবে। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করবে, সে পরকালে এসব থেকে বঞ্চিত হবে। অত:পর রাসূল সা: বলেন: এই বস্তুসমূহ জান্নাতীদের জন্যে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট। (নাসায়ী)।

আল্লাহর হুকুম লংঘন করে যারা দুনিয়ায় ধন-সম্পদ, মান-সম্মান,প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি নেয়ামত অর্জন করে তা এ দুনিয়ায়ই সীমাবদ্ধ। পরকালে তারা শাস্তি ব্যতীত কোন ধরনের নেয়ামত পাবে না। আল্লাহর বাণী,
وَيَوْمَ يُعْرَضُ الَّذِينَ كَفَرُوا عَلَى النَّارِ أَذْهَبْتُمْ طَيِّبَاتِكُمْ فِي حَيَاتِكُمُ الدُّنْيَا وَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهَا فَالْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَفْسُقُونَ.
যেদিন অবিশ্বাসীদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে (সেদিন তাদেরকে বলা হবে:) তোমরা তো পার্থিব জীবনে সুখ শান্তি পার্থিব জীবনেই নি:শেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা ছিলে পাপাচারে লিপ্ত। (আহক্বাফ-২০)।

তাছাড়া প্রাচীনকালে রাজা বাদশাহরা সোনার কাঁকন ও মূল্যবান রেশমী কাপড় ব্যবহার করতেন। অথচ উভয় জিনিস পুরুষের জন্যে দুনিয়াতে ব্যবহার করা ছিল নাজায়েজ। জান্নাতবাসীদের পোশাকের মধ্যে এ গুলোর কথা র্ননা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে একথা জানিয়ে দেয়া যে, সেখানে তাদেরকে রাজকীয় পোশাক পরানো হবে। একজন অবাধ্য বাদশাহ সেখানে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে। আর দুনিয়াতে একজন সাধারন খেটে খাওয়া মজদুর জান্নাতী হলে সেখানে সে থাকবে রাজকীয় জৌলুসের মধ্যে। কাজেই আমাদেরকে চলতে হবে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী। আমাদের প্রবৃত্তির ইচ্ছানুযায়ী নয়।

আল্লাহর বাণী,
وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا. يُدْخِلُ مَنْ يَشَاءُ فِي رَحْمَتِهِ وَالظَّالِمِينَ أَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا .
আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন ইচ্ছা পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁর অনুগ্রহের অন্তর্ভূক্ত করেন; আর যালেমদের জন্যে তিনি প্রস্তুত রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ( আদ দাহার ৩০)।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ একে

Logo-orginal