, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

‘সিনিয়রিটি না মানায় নিজেই আলীকে ছুরি মারি’

প্রকাশ: ২০১৫-০৮-১৫ ১৬:৪৯:৪৭ || আপডেট: ২০১৫-০৮-১৫ ১৬:৪৯:৪৭

Spread the love

Abdul_Ali_sm_227104019

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সিলেট: সিনিয়রিটি না মানায় কথাকাটাকাটির জের ধরেই আব্দুল আলীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে প্রনজিৎ ও তার সঙ্গীরা। এ সময় সে নিজেই ছুরি দিয়ে চারটি আঘাত করে আলীর শরীরে।

 

 

 

শনিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১টায় ৩য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এভাবেই সিলেটের মদন মোহন কলেজের ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে মামলার প্রধান আসামি প্রনজিৎ দাস।

 

 

 

এ সময় বিচারক আনোয়ারুল হক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন পুলিশকে।

 

 

 

প্রনজিৎ দাসের জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, অালী ও প্রনজিৎ উভয়েই ছাত্রলীগের বিধান গ্রুপ করতো। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ক্লাস থেকে বের হয় প্রনজিৎ। এ সময় বাইরে থেকে কয়েকটি ছেলে তাকে দাদা বলে সম্বোধন করে। দু’তলার বারান্দায় বসা আব্দুল আলী ওই ছেলেগুলোকে বলে-তোমরা যারা ওকে দাদা বলে ডাকো, তাকে তো আমি পিটিয়েছি। কথাগুলো ওই ছাত্ররা তার কাছে বলেছিলো। কথাটি জিজ্ঞেস করতে সে আব্দুল আলীর মুখোমুখি হয়। সে ও তার সঙ্গী ৪/৫ জন এ সময় আলীকে সিঁড়ি দিয়ে নিচ তলায় নামিয়ে আনে। পকেট থেকে ছোরা বের করে এ সময় আব্দুল আলীকে চারবার আঘাত করে প্রনজিৎ। এরপর তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়। তবে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রনজিৎ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হত্যার পর সে ওসমানীনগর উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে বুড়িখাল সেতুর নিচে পানিতে ছোরাটি ফেলে দেয়। গ্রেফতারের পর তার তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওই খালের পানি থেকে ছোরাটি উদ্ধার করা হয়।

 

 

তিনি বলেন, আদালতে নিজেকে জড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয় প্রনজিৎ। হত্যাকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনের নাম বলেছে সে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি মোশাররফ।

 

 

প্রসঙ্গত, বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিলেট মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে আগের দিনের বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল আলীকে প্রণজিৎ দাশের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করে। সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর আলীর মৃত্যু হয়। নিহত আলী একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিজ সিলাম গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।

 

 

 

 

ওইদিন বিকেলেই প্রণজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে আঙুর মিয়া নামে হত্যাকাণ্ডের আরেক হোতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal