, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

ঈদের আগেই মসলার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ২০১৫-০৯-১৩ ০৯:৪৭:১৬ || আপডেট: ২০১৫-০৯-১৩ ০৯:৫৪:০৩

Spread the love

spicy20150912215719

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকা:   চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কোরবানির ঈদ। বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারো বাড়ছে মসলার চাহিদা। আর এ সুযোগে অশুভ প্রতিযোগিতায় নামেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে গরম হতে শুরু করেছে রাজধানীর মসলার বাজার।

তবে সরকার এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে বা শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে মসলার দাম লাগামহীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় খরচ বেড়েছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের উপর। বিভিন্ন অজুহাতে এসব পণ্যে দর বাড়ানো হচ্ছে।

বিশেষ করে পেঁয়াজের বাজার এখনো অস্থির। এরপরও চোখে পড়ছে না কোনো ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা। তবে ঈদের আগে যদি পাইকারি বাজারে মনিটরিং করা না হয় তাহলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

গতকাল শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি জিরা তিনশ ২০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেজপাতা একশ ৮০ থেকে দুইশ, দারচিনি দুইশ ২০ থেকে ৮০, লবঙ্গ ও এলাচি ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালো গোল মরিচ আগে দেড়শ থেকে তিনশ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা বাড়িয়ে জয়ফল বিক্রি করছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়। যত্রীক ১৫০০ থেকে ১৮০০, কিসমিস সাড়ে চারশ থেকে সাড়ে ছয়শ, আলু বাখারা চারশ থেকে ছয়শ, সাদা গোল মরিচ সাড়ে ১৪০০ থেকে ১৫০০ এবং কালো এলাচ ২৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া আগের বাড়তি দরে ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁঠবাদাম। পোস্তাদানা আটশ থেকে ১০০০, হলুদের গুড়া ১৮০ থেকে ২৫০, মরিচের গুড়া ১৯০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হলেও প্রকারভেদে দেশি রসুন ৮০-৯০, মোটা রসুন ১০০-১৩০ ও একদানা রসুন ১৬০ টাকা এবং আদা ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগ, মতিঝিল, খিলগাঁও, শান্তিনগর, কাপ্তান বাজার এলাকার খুচরা মসলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজার পর বেশির ভাগ মসলার দাম কমলেও গত সপ্তাহ থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মসলার সংকটের কথা বলছেন। তাই ঈদের আগেই পাইকারি বাজারে মনিটরিং করা না গেলে মসলার দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

কাপ্তান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী মেসার্স বিক্রমপুর ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী এমরান সরকার বলেন, বুধবার পাইকারি বাজারে গেলে মসলার সংকটের কথা বলা হয়েছে। তার মানে দাম বাড়বে। অথচ ঈদের মাত্র ১০/১২ দিন সময় রয়েছে।

শান্তিনগরের ফেনী স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মো. জামাল উদ্দিন জানান, কোরবানির পশুরহাট বসার পর মসলার চাহিদা বাড়ে। তখন দাম কিছুটা বাড়বে।

তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মসলার দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে এর প্রভাব পড়বে। অন্যথায় দাম বাড়বে না।

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal