n_carcellar1957
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-১২ ১২:০০:১২ || আপডেট: ২০১৫-০৯-১২ ১২:০০:৩৫
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম: পরীক্ষা দিতে এসে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের হদিস মেলেনি। তাই চাকরি প্রত্যাশীরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণ সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (জেএসডিও) কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
জনকল্যাণ সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন (জেএসডিও) নামে একটি সংস্থা গত ২৫ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জোনাল ম্যানেজার, সহকারী জোনাল ম্যানেজার, এরিয়া ম্যানেজার, সহকারী এরিয়া ম্যানেজার, শাখা ব্যবস্থাপক, শাখা হিসাব রক্ষক, ফিল্ড অফিসার ও সহকারী ফিল্ড অফিসার পদে দরখাস্ত আহবান করা হয়। ওইসব পদে মোট ৭৩০ জনকে নিয়োগ করার কথা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মতে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। একইদিনে ওই কেন্দ্রে মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় লিখিত পরীক্ষার পূর্বে পরীক্ষার ফি হিসেবে প্রথম ৬টি পদের জন্য ১৫০ টাকা এবং পরবর্তী দু’টি পদের জন্য ১০০ টাকা দেয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সে অনুযায়ী ওই তিন জেলার প্রায় ২ হাজার চাকরি প্রত্যাশী যুবক-তরুণী পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয় সকাল ৯টার আগেই। কিন্তু সকাল ৯টা, ১০টা, ১১টা পেরিয়ে গেলেও সংস্থাটির কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর হদিস মেলেনি। এমনকি পরীক্ষা কেন্দ্রের কোন কক্ষ খোলা না পেয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
তাৎক্ষণিক তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, এ ধরনের কোনো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের জানা নেই। ফলে নিয়োগ প্রত্যাশীরা একজোট হয়ে সংস্থাটি বিচারের দাবিতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক অবরোধ করে। সেইসঙ্গে দৈনিক প্রথম আলোর মতো একটি পত্রিকা এ ধরনের ভুয়া নিযোগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় পত্রিকাটির বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে পঞ্চগড়ের রেজাউল করিম, দিনাজপুরের খোরশেদ আলম, চিরিরবন্দরের শাহানাজ ও ডোমারের রাকিব জানান, অনেক আশা নিয়ে টাকা খরচ করে পরীক্ষা দিতে এসেছি। এসেই বুঝলাম প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। প্রথম আলো পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিশ্বাস করে এসেছি।
সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারূল হক জানান, নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ওই সংস্থার পক্ষে এডমিন পরিচয়ে এক ব্যাক্তি এসেছিলেন সপ্তাহ খানেক আগে। আমি ওই ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের বরাবরে আবেদন করতে বলেছি। এর পরে আমার সাথে আর কেউ যোগাযোগ করেনি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলামেইলকে জানান, প্রতারণার শিকার চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা অবরোধ তুলে নেয়। অপরদিকে, প্রতারণার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেএসডিও সংস্থার ঠিকানা হচ্ছে হাউস নং-১৮ রোড-২ ব্লেক-বি, সেকশন-৬, মীরপুর-২ ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।
সূত্রঃ বাংলা মেইল
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ জেড এইচ