, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আশুরায় রোজার ফযিলত : গুনাহ ক্ষমার এক অপূর্ব সময়

প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৩ ১৫:৫২:০৮ || আপডেট: ২০১৫-১০-২৩ ১৫:৫২:০৮

Spread the love

আশুরায় রোজার ফযিলত : গুনাহ ক্ষমার এক অপূর্ব সময়!

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ইসলাম ডেস্কঃ কুরআন মজীদে ও হাদীস শরীফে এ মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হল, এটা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ মাস। কুরআনের ভাষায় এটি ‘আরবাআতুন হুরুম’-অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম।

এ মাসে রোযা রাখার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

১. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা হল সর্বশ্রেষ্ঠ।’

أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم

-সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১৫৭

এর মধ্যে আশুরার রোযার ফযীলত আরও বেশি।

২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’

ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني رمضان

-সহীহ বুখারী ১/২১৮

৩. অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’

صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله

-সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮

৪. ইবনে আববাস রাদিআললাহু আনহু বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জের শেষ দিন এবং মুহাররমের প্রথম দিন রোযা রাখল সে যেন বিগত বছরকে রোজার মাধ্যমে শেষ করল। অর্থাৎ সে যেন বিগত পুরো বছর রোযা রাখল এবং আগামি বছরকেও রোযা দিয়ে শুরু করল।

আল্লাহ তাআ’লা তার ঐ রোজাকে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহের কাফফারা করে দিবেন।

সুত্রঃ গনিয়াতুত তালিবিন,পৃষ্ঠা : ৪২৮

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ একে

Logo-orginal