, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

কুয়েতি মা ও মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করল এক মিশরি

প্রকাশ: ২০১৫-১০-১৪ ১৩:৫৬:২৮ || আপডেট: ২০১৫-১০-১৪ ১৩:৫৬:২৮

Spread the love

কুয়েতি মা ও মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করল এক মিশরি
(ছবিঃ এই গর্তে মা- মেয়ের লাশ পাওয়া যায়)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, কুয়েতঃ কুয়েত থেকে মিশর ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মা ও মেয়ে ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ১ম সপ্তাহে মা-মেয়ে মিশরের আসোদ প্রদেশে নিখোজ হওয়ার পর, তাদের কোন সন্ধান না পাওয়া নিহতের ছেলে মিশর গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে কায়রোর কুয়েত দুতাবাসে ।

অন্যদিকে, কুয়েত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কুটনৈতিক তৎপরতা শুরু করিলে, নড়েচড়ে উঠে মিশরের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, শুরু হয় মা-মেয়ের খোজ ।

অবশেষে লাশ মিলে আসোদ প্রদেশের ১টি খামারের ২০ মিটার দীর্ঘ গর্তের ভিতর হতে, বেরিয়ে আসে লৌহমর্ষক হত্যাকান্ডের কাহিনী, টাকার লোভে এমন কান্ড ঘটাতে পারে, তাহা ভেবে হতবাক কুয়েতে মিশরয়ী প্রবাসীরা ।

কায়রোর বহুল প্রচারিত আল নাহার পত্রিকা সুত্রে প্রকাশ, সৌদি বংশদুত কুয়েতি মা মেয়ে হত্যাকান্ডের মুল ঘাতক আব্দুল তোয়াব ও তার স্ত্রী হান্নাকে গ্রেপ্তার করে মিশরের গোয়েন্দা বিভাগ ।

আসোদ প্রদেশের আল মিনায়ায় জেলার গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল মাহমুদ আফিফি জানান, ঘাতক আব্দুল তোয়াব আসোদ প্রদেশের আল কুসাইয়া গ্রামের অধিবাসি ।
হত্যাকান্ডের শিকার কুয়েতি (এইচ, হা)মা (৫৫) ঘাতকের কফিল, সৌদি প্রবাসী আব্দুল তোয়াব ঐ মহিলাকে মিশরের আসোদ প্রদেশে রিয়েল এসেষ্ট ব্যবসায় বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়ে মিশরে নিয়ে যায়,
মহিলা তার মেয়ে ও সাথে ৪০০,০০০ গিনি (প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা) নিয়ে আসোদ প্রদেশে পৌছার পর পর ঘাতকের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে ।

নিহতদের বয়স যথাক্রমে মা ৫৫ ও মেয়ে ২৭ বছর ।

কুয়েতি এই পরিবার মোটেও আচ করতে পারেনি ঘনিষ্ট কর্মচারীর বিশ্বাস ঘাতকতার ।

মেজর জেনারেল মাহমুদ জানান, মুলত ৪০০,০০০ গিনি হাতিয়ে নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটায় তোয়াব ও তার স্ত্রী।

আবদুল তোয়াব মিনাইয়া গ্রামের তার খামারে মা-মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর নিকটবর্তী ১টী কুয়ায় লাশ ২টি ফেলে দেয়, পুলিশ গলিত লাশ ২টি উদ্ধার করে আসোদ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে, ডিএনএ টেষ্টের পর লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান পুলিশ ।

তবে, নিহত মহিলার ছেলে শোকাহত রাশেদ আল কামিছ বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চায়না, আমার মা ও বোন নেই ।

রাশেদ জানায়, সৌদিতে আমদের খামারে কাজ করার সুবাদে আবদুল তোয়াবের সাথে পরিবারের সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে, আজ সেই সম্পর্কের মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের ।
যেভাবে আটক হয় ঘাতকঃ কায়রোর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সরাসরি তত্ববধানে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে মেজর জেনারেল মাহমুদ আফিফি ।

ঘাতক তোয়াব ও তার পরিবার এবং নিকট আত্নীয় স্বজনদের নজরদারির এক পর্যায়ে,
তোয়াবের শ্যালক সায়েদ কায়রো বিমান বন্দরে আসে বিদেশ ফেরত ছোট ভাইকে রিসিভ করতে, সায়েদের বহন করা ব্যাগটি ছিল নিহত মহিলার, সেই সুত্র ধরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে পুরো ঘটনা জাল খুলে যায় গোয়েন্দাদের চোখে, গ্রেপ্তার করা হয় তোয়াব তার স্ত্রী হান্না ও ৩ শ্যালক সায়েদ, আলী ও মোহাম্মদকে ।

গোয়েন্দাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ও লৌহমর্ষক হত্যাকান্ডের কাহিনী ।

তোলপাড় পড়ে যায় পুরো কুয়েত জুড়ে, টক অব দ্যা নিউজে পরিনত হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে, হতবাক ও লজ্জিত হয়ে পড়ে প্রবাসী মিশরীরা ।

দাবী উঠে ঘাতক তোয়াব পরিবারের ফাসির,কুয়েতিরা প্রসংশা করে ধন্যবাদ জানায় তাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী খালেদ আল জারাল্লাহকে ।

নিহতের পরিবার আশা করে শীঘ্রই ঘাতকদের ফাসি হবে ।

উল্লখ্য, বেশ কদিন থেকে কুয়েত ও মিশরের মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এই হত্যাকান্ড ।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ একে

Logo-orginal