, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Avatar nu ajad

সাতকানিয়ার এই মসজিদটি এখন শুধুই স্মৃতি

প্রকাশ: ২০১৫-১০-১১ ০৯:০৩:১৮ || আপডেট: ২০১৫-১০-১১ ০৯:০৩:৫৪

Spread the love

sitakundo

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, সাতকানিয়া:   শঙ্খের করাল গ্রাসে মাজার,কবরস্থান, বসতঘর, ফসলী জমি বিলীনের পর দক্ষিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের দ্বীপ চরতী গ্রামের দক্ষিন পাড়া শাহী জামে মসজিদটিও নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।

গত শুক্রবার দুপুর থেকে ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে রাতের মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মসজিদটির বেশীর ভাগ অংশ শঙ্খের করালগ্রাসে হারিয়ে গেছে।

প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের বার বার দৃষ্টি আর্কষন এবং এলাকাবাসীর অর্থায়নে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাজ অব্যাহত থাকাকালীন সময়েই এ সুরম্য মসজিদটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় এলাকার আবাল, বৃদ্ধা-ভনিতার মাঝে বিরাজ করছে শোকাতুর পরিবেশ।

ভাঙ্গনের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে মাত্র কয়েক দিনের মাথায় বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে দ্বীপ চরতী দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসাটিও। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের আশংকা পরিলক্ষিত হওয়ায় মাদ্রাসার কিছু অংশ স্থানীয় গ্রামবাসী অপসারণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ জানান,সাতকানিয়ার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরতী এলাকায় ভাঙ্গন রোধের জন্য বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রনালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড়, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেছি।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না হওয়ার আগেই বসত ঘর,কবর স্থান, মাজার ও মসজিদ বিলীন হয়ে গেল। একমাত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসাটিও ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।

ভাঙ্গনরোধে গ্রামবাসীর প্রচেষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ও ফরিদুল আলম বলেন, দ্বীপ চরতীর ভাঙ্গনের বিষয়ে একাধিক পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে মসজিদ রক্ষার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে সিমেন্ট মিশ্রিত বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধক মূলক কাজ শুরু হয়।

এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ভাঙ্গনের কবল থেকে মসজিদটি রক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্ধ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ সরওয়ার ভায্গন কবলিত এলাকা পরির্দশন করে ভাঙ্গনরোধকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান।

কিন্তু গত তিন দিন আগে থেকে শঙ্খনদীতে হঠাৎ শোত বৃদ্ধি হয়ে শ্রোতের তোড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে মসজিদটির বেশির ভাগ অংশ শঙ্খগর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে।

দ্বীপ চরতী গ্রামের বিশাল জনগোষ্টি নামাজ পড়ার জন্য আর কোন জামে মসজিদ রইলনা। ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী

প্রকৌশলী পারভেজ সরওয়ার বলেন, আমি সেই মসজিদটিসহ ভ্ঙ্গান কবলিত এলাকা পরির্দশন করেছি। মসজিদটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু এ প্রতিবেদক সেই মসজিদটি গত শুক্রবার ভেঙ্গে গেছে জানালে তিনি (পারভেজ সরওয়ার) আজ রবিবার সকালেই ঐ এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান।

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/ এ এইচ বি

Logo-orginal