, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar nu ajad

আন্দোলনের মুখে যবিপ্রবির ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ২০১৫-১২-১৩ ২১:৩২:২৮ || আপডেট: ২০১৫-১২-১৩ ২১:৩৩:৩০

Spread the love

juet

যশোর: শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দুটি হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ছেলেদের এবং আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মশিউর রহমান বলেন, ‘আগামী ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর স্নাতক পর্বে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করার জন্য শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি হল আছে। শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ৫৫০ শতাধিক ছাত্র এবং শেখ হাসিনা হলে ৫০০ ছাত্রী থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছাত্রদের ওপর হামলা ও গ্রামবাসীকে উস্কানি দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী বদি-উজ-জামানকে বরখাস্তের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন।

আজ বদি-উজ-জামান, গাড়িচালক সাহেব আলী ও কর্মচারী জাহিদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টর মশিউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বদির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলাও রয়েছে। তার বরখাস্তের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।’

গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাঠে বালু ফেলার কাজে নিরাপত্তাকর্মী বদির ভাই শরীফের ইঞ্জিনচালিত মালবাহী গাড়ি ভাড়া করে কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনের আগের দিন শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে।

ওই ছাত্রী বিষয়টি তার সহপাঠীদের জানান। তখন সহপাঠীরা শরীফকে মারধর করেন। পরে শরীফ স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে এক ছাত্রকে পিটুনি দেন।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ুর রহমান হলের ছাত্ররা সমাবেশ করে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বদিকে ডেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন ও তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

খবর ছড়িয়ে পড়লে বদির স্বজনসহ স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এনএ

Logo-orginal