, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

গাজীপুরে জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান, নিহত ২ জঙ্গি

প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৮ ০৯:৩৭:০৯ || আপডেট: ২০১৫-১২-২৮ ০৯:৫৭:৩৫

Spread the love

rabআরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃ গাজীপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) সদস্যরা। অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত ও একজন র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।

রোববার দিনগত রাত ১১টায় গাজীপুরের জুগিতলার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ অভিযান শুরু হয়।

র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোপান সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর দল ভোগড়া বাইপাসের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে অভিযান শুরু করে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় র‌্যাবও গুলি চালায়।’

অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাবের পরিচালক (গোয়েন্দা) ল্যাপটেনেন্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।

জানা গেছে, র‌্যাবকে লক্ষ্য করে জঙ্গি সদস্যরা দুইটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে অভিযানে অংশ নেয়া র‌্যাব সদস্য মাসুদ আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই জঙ্গি সদস্য নিহত হয়। তবে র‌্যাবের দাবি, নিজেদের বোমা বিস্ফোরিত হয়েই ওই জঙ্গি সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।

র‌্যাবের গুলিতে দুই রুমের ওই পরিত্যাক্ত ভবনের একটি দেয়ালও ধসে পড়ে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

অভিযান শেষে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে থাকা র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জঙ্গিরা এখানে প্রায়ই মিলিত হয়ে বৈঠক করতো। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে বসেই তারা বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২টায় অভিযান শুরু করি। উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ করে। সেই সঙ্গে ওই বাড়ির ভেতরেও বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের ছুঁড়া বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে একজন র‌্যাব সদস্য গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব সদস্যরা পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে ওই বাড়ি থেকে দুইটি ডেডবডি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিজেদের বিস্ফোরিত বোমার আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরিত্যাক্ত বাড়িটি থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। যেখানে তিনটি আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) পাওয়া যায়। এছাড়া একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, জেএমবির সাংগঠনিক বই, জিহাদি বই, বোমা বহনকারী বেল্ট এবং পাশের ধান ক্ষেত থেকে বেশ কয়েকটি হ্যান্ডগ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ও বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করা হয়।’

অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আপাতত অভিযান শেষ করা হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ার কাজ চলবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার চারদিক ঘিরে ফেলি, তাই কোনো জঙ্গি পালাতে পারেনি। এ দুইজনই ছিল। তাদের পরিচয় এখনো আমরা জানি না। তবে তারা যে সশস্ত্র ছিল তা আমরা নিশ্চিত।’

এদিকে শনিবার মধ্যরাত ১২টা থেকে গভীররাত ৪টা পর্যন্ত হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক কমান্ডারের আস্তানায় হানা দেয় নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখান থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরক এবং সেনাবাহিনীর পোশাক উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ নম্বরের একটি বাসা থেকে জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে সেখান থেকে বিশেষ হ্যান্ডগ্রেনেডসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। যেটি ছিল গ্রেনেড তৈরির কারখানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

 

Logo-orginal