, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

চীনের সঙ্গে মুদ্রাযুদ্ধ আসন্ন!

প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৪ ১১:০২:৩৮ || আপডেট: ২০১৫-১২-২৪ ১১:০৩:৪২

Spread the love
চীনের সঙ্গে মুদ্রাযুদ্ধ আসন্ন!
চীনের সঙ্গে মুদ্রাযুদ্ধ আসন্ন!

 

 

 

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ বিশ্ব অর্থনীতিতে চীন নতুন পথে ধাবিত হতে যাচ্ছে। শেষ হতে যাওয়া বছরটিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দায় টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করলেও আশা করা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে মন্দা কেটে যাবে। তবে অর্থনীতিবিদদের কাছে ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্র ও লাটিন আমেরিকার অর্থনীতির জন্য কোনো সুসংবাদ নেই বললেই চলে। বরং চীনের অর্থনীতিতে সুবাতাস বইতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন তারা।

চলতি অর্থবছরে চীনের অর্থনীতিতেও শ্লথ গতি পরিলক্ষিত হয়েছে। জ্বালানি ও পণ্য উৎপাদন এবং সেবাখাতে তারা ধীরনীতি অবলম্বন করেছিল।

চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানেই উন্নয়নশীল দেশের বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য সুসংবাদ।

চলতি বছর চীনের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় হয়েছে, বহু শেয়ারের পতন হয়েছে, অনেকেই তাদের পুঁজি হারিয়েছে। এমতাবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগ ঠিক রাখতে সরকারকে পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে নতুন করে জোয়ার আসবে। বিশ্ব অর্থনীতির নব দিকনির্দেশনা সৃষ্টি করবে চীন। শিল্প উৎপাদনসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে তারা বিশ্বে নতুন আলোড়নও সৃষ্টি করতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো- কেন বিশ্ব মন্দার মধ্যেও চীনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছে? এর জবাব খুঁজতে হলে আমাদের দৃষ্টি দেয়া দরকার চীনের মূল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে। পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনেক নিয়মই চীন মেনে চললেও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ সেখানে এখনো বিরাজমান। সে নিয়ন্ত্রণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সব সময়ই সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

চলতি বছর বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল চীনে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, রাষ্ট্রকে ভাবতে বাধ্য করা হয়েছে। সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে এ চিন্তা করে ক্ষমতাসীন সিসিপির নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রীয় কলকারখানায় বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব প্রদান করছেন।

২০১৬ সালে চীনের অর্থনীতিতে ভোগ্যপণ্যের ওপর কর হ্রাস করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। পণ্য উৎপাদন এবং বণ্টনে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যা হোক, চীনের অর্থনীতি সঠিকপথে পরিচালিত না হলে তৃতীয় বিশ্বের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বয়ে আনবে। অন্যদিকে দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালী হলে ইউয়ানের মূল্য বাড়বে, যার ফলে বিশ্ব অর্থনীতির পরাশক্তির সঙ্গে দেশটির মুদ্রাযুদ্ধ বেধে যেতে পারে, তার ফলাফল কী হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/একে

 

Logo-orginal