, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা না থাকলে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়:আবদুস সামাদ

প্রকাশ: ২০১৫-১২-২০ ১৯:২৪:৩৭ || আপডেট: ২০১৫-১২-২০ ১৯:২৬:১৮

Spread the love

1সুন্নি মতাদর্শের আলোকে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে গঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ২১ ডিসেম্বর সোমবার। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ ডিসেম্বর রোববার বিকালে নগরীর আগ্রাবাদস্থ বড়পোল চত্বরে ইসলামী ফ্রন্ট মহানগর আওতাধীন দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নগর দক্ষিণ ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম জেহাদীর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ।

প্রধান অতিথি স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে উন্নয়নের স্রোত বইয়ে দিলেও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই থাকবে। কম গণতন্ত্রে অধিক উন্নয়নের আড়ালে বরং ক্ষমতাসীনরাই লাভবান হয়। কিন্তু জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না। সরকারের অনেক সাফল্য থাকলেও সকল নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা, দলীয় মাস্তানচক্রের ব্যুহ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা এবং খুন-গুম-অপহরণে জড়িতদের বিচার না করায় সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।

তিনি  আরো বলেন, সরকার অভাবিত অসাধ্য কাজ পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছে কেবল সদিচ্ছা থাকায়। তাই সুশাসন, গণতন্ত্র সুরক্ষা, সকল আপরাধী ও দুর্বৃত্তচক্রের বিচারের আওতায় আনতে সরকার আগ্রহী হলে সরকার ও জনগণ উভয়েরই লাভ।

সামাদ বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও সরকার ব্যবস্থায় এর বিকল্প এখনো আবিষ্কার হয়নি। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে শাসন করতে গেলেই বিপদ। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব মাওলানা কাজী সেলাইমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, এ সরকার জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ নির্বাচণের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হলে জনপ্রতিনিধির মর্যাদা যেমন ক্ষুন্ন হয়, তেমনি জনগণের মতামতকেও উপেক্ষা কর হয়। যা কাম্য হতে পারে না। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেন, দেশের যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার যুবকদের বিপথগামী করছে। আমরা মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী। কিন্তু মুক্ত চিন্তার নামে ব্লগে যা ইচ্ছা লেখা তা মুক্ত চিন্তা হতে পারে না। অন্যের অধিকার ও মর্যাদায় হস্তক্ষেপ করলে এই সুযোগে জঙ্গি-ব্লগার উভয়ের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। তিনি সর্বস্তরের মানুষকে ইসলামী ফ্রন্টের গঠনমূলক আদর্শিক রাজনীতিতে শামিল হবার আহবান জানান।

মহানগর দক্ষিণ ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ অশরাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি নাঈমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন মাহমুদ, জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, হাফেজ নুরুল আলম, রেজাউল করিম, মাওলানা ফজল আহমদ, আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, মুজিবুর রহমান মুজিব, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা নগর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, শফিকুল আলম চৌধুরী, ছাত্রসেনা নগর সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, আলমগীর ইসলাম বঈদি, আবদুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, মাওলানা আবদুল খালেক আলকাদেরী, মাহমুদুল হক, মাওলানা জহির উদ্দিন তুহিন, আবদুল মান্নান সওদাগর, নজরুল ইসলাম, কে এম নুরুদ্দিন চৌধুরী, হাফেজ মুহাম্মদ আনসারুল হক, মাওলানা এনাম সিদ্দিকী, ছাত্রনেতা রিয়াজ হোসাইন, মিজানুর রহমান প্রমুখ। (প্রেস-বিজ্ঞপ্তি)

Logo-orginal