, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Avatar n_carcellar1957

বিনোদন ব্যবস্থা সঙ্কটে সাতকানিয়ার অধিবাসীরা

প্রকাশ: ২০১৬-০১-১৫ ১০:২৫:৩৭ || আপডেট: ২০১৬-০১-১৫ ১০:৩৫:৫২

Spread the love
 মু. জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

মোনাজাত

চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ সাতকানিয়ায় দীর্ঘদিনেও বিনোদনের কোন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। ফলে কর্মক্লান্ত মানুষ অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কাছাকাছি কোন পার্ক, লেক কিংবা উদ্যানে গিয়ে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ক্লান্তি ঘুচিয়ে শরীর-মন চাঙা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না।

বিভিন্ন উপলক্ষ্যে প্রাপ্ত ছুটি বা অবসরে এই উপজেলার অধিবাসীকে ছুটতে হয় কক্সবাজার, বান্দরবান, আনোয়ারা, বাঁশখালী কিংবা দূরের কোন বিনোদন স্পটে। তবে এতে দীর্ঘ সময় এবং প্রচুর অর্থ খরচ হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে বিনোদনের চাহিদা পূরণ একেবারেই সম্ভব হয়ে ওঠেনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাতকানিয়া উপজেলার কোথাও কোন পার্ক গড়ে উঠেনি, নেই কোন দৃষ্টি নন্দন লেক কিংবা নজরকাড়া স্থাপনা। শিশুদের খেলাধুলার জন্যও গড়ে উঠেনি কোন অবকাঠামো।

অথচ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় বিভিন্ন দূর পাল্লার পর্যটকদল সাময়িক যাত্রা বিরতি করে। উপজেলায় অবস্থিত বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল এলাকাটি অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন হলেও সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ। কেঁ ‘ওচিয়া বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় বিস্তর সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও কোন আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়নি।

অধিকন্তু সেখানকার নির্জন এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হবার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নত মানের কয়েকটি রেস্তোরা গড়ে উঠলেও সেখানকার কর্মকান্ড নিয়ে রুঁচিশীল মানুষের প্রবল আপত্তি আছে। এদিকে বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এই উপজেলার বিনোদন প্রেমীরা বিনোদন উপভোগ করতে ছুটে যান বান্দরবান, কক্সবাজার কিংবা দূরের অন্য কোথাও বিনোদন কেন্দ্রে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটের আশেপাশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে একটি পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হলে সাতকানিয়াবাসীর বিনোদনের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দূর পাল্লার পর্যটকদের চাহিদা মিটাতেও সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ আশা করছেন স্থানীয়রা।

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এন এ কে

Logo-orginal