, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

পুলিশের স্ত্রী হত্যার জের একদিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

প্রকাশ: ২০১৬-০৬-০৭ ২১:১১:২০ || আপডেট: ২০১৬-০৬-০৭ ২১:১১:২০

Spread the love

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃ  সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গিদের দ্বারা ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার একদিনেই নিহত হয়েছে সন্দেহভাজন তিন জঙ্গি।

এদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পল্লবীতে নিহত হয়েছে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই উচ্চপদস্থ সদস্য এবং অন্যটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে।

রাজধানীতে নিহত দুজন হলেন- তারেক হাসান নিলু ওরফে ওসমান (৩২) এবং সুলতান মাহমুদ ওরফে কামাল ওরফে রানা (৪০)। এদের মধ্যে জয়পুরহাটের বাসিন্দা ওসমান জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতা। জেএমবির মধ্যম পর্যায়ের নেতা কামাল বগুড়ার শিয়া মসজিদে গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা মামলার আসামি। নিহত এই দুই জেএমবি সদস্য শিয়া মসজিদে বোমা হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হত্যাসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এম আর খালেদযে

নিহত জেএমবি’র সদস্য জামাল উদ্দিন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় জড়িত বলে দাবি করেন রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) নিসারুল আরিফ।

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন ঝিনাহদহের ৬৯ বছর বয়সী হিন্দু পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী।

এইদিকে, ঢাকার পল্লবীতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জিহাদি গ্রুপের সদস্যদের মারাত্মক বন্দুকযুদ্ধে মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই উচ্চপদস্থ সদস্য নিহত হন।

পল্লবী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে কালশী এলাকার লোহার ব্রিজের পাশে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের নাম পরিচয় তিনি জানাতে পারেননি তিনি। তাদের দুজনের বয়স আনুমানিক ৩২ ও ৪০ বছর।

বলা হয়েছে, গোয়েন্দা পুলিশের (ঢাকা দক্ষিণ) একটি অভিযানের সময় সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিরা গুলি ছুড়লে পুলিশও ‘আত্মরক্ষার জন্য’ গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ভোরের ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মাসুদুর রহমানের ভাষ্য। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিনটি গুলি ও তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

অপর দিকে, রাজশাহীর বাগমারার সৈয়দপুর গ্রামে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত জেএমবি’র সদস্য জামাল উদ্দিন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর চাপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য জামালের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

নিহত জামাল উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর কালিনগর গ্রামের তাবজুল হকের ছেলে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র আত্মঘাতী দলের সদস্য ছিল।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবুডাইং এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গোদাগাড়ীর ফরাদপুরে অভিযানে যাওয়ার সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বাগমারায় মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জামাল।

সে জানায়, আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়া তারেক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রূপনগর গ্রামের আবু সালেকের ছেলে। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলো। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তারেকের মা তসলিমা বেগমকে আটক করেছে।

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জুমার নামাজের সময় মসজিদে আত্মঘাতী বোমায় নিহত হয় তারেক।

তারেকের পরিচয় শনাক্ত ও তার সহযোগী জামালকে ধরিয়ে দিতে রাজশাহী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল

 

Logo-orginal