, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

এক বছর ধরে সপরিবারে নিখোঁজ ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক

প্রকাশ: ২০১৬-০৭-১৮ ২০:০৮:১৬ || আপডেট: ২০১৬-০৭-১৮ ২০:০৮:১৬

Spread the love

 

এক বছর ধরে সপরিবারে নিখোঁজ ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক
এক বছর ধরে সপরিবারে নিখোঁজ ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃএক বছর ধরে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ডা. রোকন উদ্দিন ও তার পরিবারের চার সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি তদন্ত করে গতকাল রোববার রাতে

রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে পুলিশ। ওই চিকিৎসক সপরিবারে তুরস্ক যাওয়ার পর আর দেশে ফিরেননি। পুলিশ চিকিৎসকের পরিবারের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছে।

জানা গেছে, মালিবাগে মাটির মসজিদের পাশে ৪১১/বি নম্বর সাত বাড়ির মালিক ডা. রোকন উদ্দিনের স্ত্রী নাইমা আহমেদ ও নাইমা আহমেদের ছোট বোন ডা. হালিমা আহমেদ। বাবা প্রখ্যাত হোমিও চিকিৎসক আলী আহমেদের পৈত্রিক সূত্রে তারা দুই বোন বাড়ির মালিক। সাত তলা বাড়িতে ১৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এদের মধ্যে তৃতীয় তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটে সপরিবারের থাকতেন ডা. রোকন উদ্দিন। তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের রেজিস্টার ছিলেন। তার বড় মেয়ে নাদিয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তার স্বামী শিশিরও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।

ডা. হালিমা আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গত বছর রোজার সময়ে হঠাৎ একদিন তার বোন তাকে জানায় যে সপরিবারে বিদেশ যাবেন। পরবর্তীতে ২/৩ দিন পর একদিন সন্ধ্যায় তাকে জানায় যে ওই দিন রাত ২টায় তাদের বিদেশ যাওয়ার ফ্লাইট। প্রথমে তারা মালয়েশিয়া যাবেন। এরপর সেখান থেকে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দিবেন। স্বামী ডা. রোকন উদ্দিন সেখানে একটি হাসপাতালে চাকরি পেয়েছেন। এর আগে ডা. রোকন উদ্দিন ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে চাকরির অব্যাহতি নেন।

তিনি আরো বলেন, চলে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ হয়নি।

ডা. রোকন উদ্দিনের বড় ভাই আফাজ উদ্দিনের ছেলেমেয়েরা এখন সাতটি ফ্ল্যাট দেখাশুনা করছেন। চলতি বছরের রোজার সময় হঠাৎ একদিন একটি বিদেশী নম্বর থেকে তার মোবাইল ফোনে কল আসে। ওপার প্রান্ত থেকে নাইমা আহমেদ জানান যে তারা তুরস্কে আছেন এবং ভালো আছেন। এর বেশি আর কোনো কথা হয়নি।

রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম নিখোঁজ চিকিৎসকের ভাই আফাজ উদ্দিনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত বছরের জুন মাসে ডা. রোকন উদ্দিন ও তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক মেয়ের জামাতা তুরস্ক যান। এরপর থেকে তারা দেশে ফিরেননি।
ডা. রোকনের স্ত্রী মালিবাগের হোমিও চিকিৎসক আলী আহমেদের মেয়ে। মালিবাগের মাটির মসজিদ সংলগ্ন সাত তলা বাড়ির কয়েকটি ফ্ল্যাটের মালিক ডা. রোকন উদ্দিন। ভাই দেশে না ফেরায় ওই সব ফ্ল্যাটের ভাড়া তারা উত্তোলন করছেন। তবে কী কারণে তার ভাই দেশে ফিরেননি বা তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়েছিল কিনা-এ ব্যাপারে পুলিশকে আফাজ উদ্দিন বিস্তারিত তথ্য দেন।

সম্প্রতি হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার পর দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজের ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসে। রোববার রাতে রামপুরা থানা পুলিশের একটি টিম ডা. রোকন উদ্দিনের বাসা পরিদর্শন করে। পুলিশ ডা. রোকনের ভাইয়ের সাথে কথা বলে।

পুলিশ ধারণা করছে, সপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। এর সাথে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ঘটনা থাকতে পারে।

রামপুরা থানার ওসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। এর সাথে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশের শীর্ষ পর্যায়কে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

উৎসঃ নয়াদিগন্ত

Logo-orginal