, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

বঙ্গবন্ধুকে যে রকম দেখেছিঃ সৈয়দ আলী আহসান

প্রকাশ: ২০১৬-০৮-১৪ ১৭:৫২:০৩ || আপডেট: ২০১৬-০৮-১৪ ১৭:৫২:০৩

Spread the love

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ  মুক্তিযুদ্ধের অবসানের পর সাথে সাথেই আমি ঢাকায় ফিরতে পারিনি, কয়েক দিন বিলম্ব ঘটেছিল। কলকাতায় থাকতেই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবর পেয়েছিলাম। কলকাতার কাগজগুলোতে এ খবরটি খুব বড় বড় প্রকাশ পেয়েছিল। আমার দুঃখ লেগেছিল এই ভেবে যে, এই বিপুল আনন্দের মুহূর্তে আমি ঢাকায় থাকতে পারলাম না।

 

আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২। তেজগাঁও বিমানবন্দরে আত্মীয় পরিজন অনেকেই এসেছিলেন, সবারই চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। দেশ যে স্বাধীন হবে এত শিগগির এবং আমি যে ফিরে আসতে পারব, এটা অনেকেই ধারণা করতে পারেননি। বিমানবন্দরে নেমে বাংলাদেশের মাটিতে যখন নিঃশ্বাস নিলাম, তখন বাতাসে যেন একপ্রকার ভেজা গন্ধ ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এই ভেজা অনুভূতিটা আমার প্রতি দেশমাতৃকার প্রথম সম্ভাষণ। ঢাকায় এসেই দিন দুয়েক পর খবর পেলাম, বাংলাদেশের সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি নিযুক্ত হয়েছেন। কলকাতায় থাকতেই শুনেছিলাম, আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিযুক্ত করা হবে, কিন্তু তা হয়নি। ড. ইন্নাস আলীকে চট্টগ্রামে ভিসি নিযুক্ত করা হলো। শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আলীর সাথে ১৭ জানুয়ারি আমার সাক্ষাৎ হলো। সে একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছাত্র ছিল। সে খুব শান্ত এবং ধীর প্রকৃতির মানুষ। আমাকে দেখে সে যেন অপরাধবোধে পীড়িত হতে লাগল। কেমন একটু বিব্রতভাবে আমাকে বলল, ‘স্যার, আপনাকে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদের জন্য প্রস্তাব করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা করতে পারিনি। ড. মল্লিক বর্তমানে শিক্ষাসচিব। আপনার মতো তিনিও আমার শিক্ষক, তিনি এ নিযুক্তিটা হতে দেননি। তবে জাহাঙ্গীরনগরে নতুন ভিসি নেয়া হবে বলে কথা হচ্ছে। ড. মল্লিক এ ক্ষেত্রে ফজলুল হালিম চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করবেন বলে ভাবছেন। আপনি যদি বঙ্গবন্ধুর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন, তাহলে ভালো হবে।’

 
আমি ২০ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করলাম। আমার সাথে ছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ডা. আবুল কাসেম। কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করতেই বঙ্গবন্ধু আমার হাত ধরে সোফায় বসালেন এবং সাথে সাথেই অত্যন্ত অন্তরঙ্গ আত্মীয়ের মতো বললেন, ‘আপনি দেশের বাইরে থেকে দেশের জন্য অনেক করেছেন। আমি শুনেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। আমি আপনার জন্য কী করতে পারি, বলুন?’ এ কথা বলেই হঠাৎ আমার দিকে কিছুক্ষণ তীক্ষè দৃষ্টি রেখে হাসি মুখে বললেন, ‘আপনার মনে নেই, আমরা একসময় ডেমোক্র্যাটিক লীগ করতাম?’ আমি জীবনে এই প্রথম ডেমোক্র্যাটিক লীগের নাম শুনলাম। আমি কী একটা উত্তর দিতে যাব, এমন সময় ডা. আবুল কাসেম আমার ডান কানে মুখ রেখে বললেন, ‘চুপ করে থাকুন। যা বলছেন মেনে নিন।’ আমি এর রহস্যটি কিছু বুঝলাম না, কিন্তু কিছু বললাম না। বঙ্গবন্ধু কোথায় আমার নিযুক্তি দেয়া যাবে, সে কথাটি তুললেন। আমি তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললাম। তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে হইয়া যাইব। আপনি মল্লিককে আমার কথা বলেন।’
ওখান থেকে বেরোনোর পর কাসেম সাহেবকে ডেমোক্র্যাটিক লীগের রহস্যটা জিজ্ঞেস করলাম। তিনি হেসে বললেন, ‘আরে ভাই, আপনাকে একটা বড় পোস্ট দেবেন, আর আপনি তাঁর নিজের লোক হবেন না, এটা তো হতে পারে না। তাই তিনি আপনাকে তার এক সময়ের নিজের কর্মী বানিয়ে নিলেন। এটা তো ভালোই হলো।’ আমি কৌতুক বোধ করলাম এবং হাসলাম।

 
কয়েক দিন পর আমি নিয়োগপত্র পেলাম এবং বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে যোগ দিলাম। যোগ দেয়ার কয়েক দিন আগে টেলিভিশনের তৎকালীন মহাপরিচালক জামিল চৌধুরী আমাকে দিয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কথা রেকর্ড করিয়ে নিল। এগুলো ছিল জীবনযাপনের ন্যায়নীতিসংক্রান্ত কথা। সে আমাকে জানাল, যেহেতু বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, সুতরাং রেডিও-টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের শুরুতে কোনো ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হবে না, তার পরিবর্তে কিছু আদর্শগত বাণী পাঠ করা হবে। এই বাণী বোধ হয় এক দিন কী দুই দিন টেলিভিশন থেকে পাঠ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এ বাণী শুনে ভয়ানক রুষ্ট হয়ে জামিল চৌধুরীকে ডেকে পাঠান। সেখানে এম আর আখতার মুকুল এবং আরো কয়েকজন ছিলেন। সম্ভবত আওয়ামী লীগের নেতা টাঙ্গাইলের আবদুল মান্নান সেখানে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জামিল চৌধুরীকে লক্ষ করে প্রশ্ন করলেন, ‘একজন মুসলমানের বাড়িতে সকাল বেলা কিসের শব্দ শোনা যায়, গানের না হরিবোলের?’ সবাই তখন তটস্থ হয়ে গেছে। তিনি তখন নিজেই উত্তর দিলেন, ‘মুসলমানের ঘরে কুরআন শরিফের আওয়াজ শোনা যায়। আজ থেকেই রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি কুরআন শরিফের আওয়াজ শুনতে চাই।’ তিনি অবশ্য অবিকল এ ভাষায় বলেননি। তার একটা দেশজ ভঙ্গি ছিল, সেটা সবাই জানেন। তার বলার ভঙ্গিতে একটা স্বাভাবিক বলিষ্ঠ প্রত্যয় ধরা পড়ত।
এর মধ্যে একদিন চানখাঁরপুলের আওয়ামী লীগের যুবকর্মীরা আমাকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে গেল। তাদের আবেদন, তিনি যে সুস্থভাবে পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছেন, সেজন্য তারা একটি উৎসব করবে। উৎসবের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন। তিনি তাদেরকে বললেন, ‘পাবি, টাকা আমি দেব, তবে কী করবি?’ ওরা সমস্বরে বলল, ‘আমরা বাজি পোড়াব, গানবাজনা করব।’ তিনি তার ক্রোধের অনবদ্য ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ঐ, মুসলমানরা খুশি হইলে বাজি পোড়ায়, না মিলাদ পড়ায়? যা, মিলাদের ব্যবস্থা কর। আর সৈয়দ সাহেবকে দিয়া মিলাদ পড়াইয়া দে।’ আমি প্রতিবাদ করে উঠলাম, ‘আমি মিলাদ পড়াতে জানি না।’ তিনি একটি ছদ্ম রাগ দেখিয়ে আমাকে বললেন, ‘মিথ্যা কথা কন ক্যান, আপনি পড়াইবেন, যান।’ যাই হোক, মিলাদের অনুষ্ঠান হয়েছিল এবং সেজন্য মৌলভী সাহেব আনা হয়েছিল। মিলাদের পর তেহারি খাওয়া হয়েছিল এবং একেবারে শেষে কিছু বাজিও পোড়ানো হয়েছিল।

 
এই সময় ঢাকা শহরে বুদ্ধিজীবী মহল থেকে মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে কয়েকটি বিবৃতি কাগজে বের করা হয়। আমি নিজে মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে ছিলাম না, কিন্তু আমি মাদরাসা শিক্ষার সংশোধন চেয়েছিলাম। কিছুটা চাপে পড়ে আমিও এরকম একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। কাগজে আমার নাম দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইসহাক আমার সাথে দেখা করেন এবং দুঃখ করে বলেন, আমার এ বিবৃতিতে সই করা উচিত হয়নি। আমি আমার ত্রুটি বুঝতে পারি এবং কী করে ওটা দূর করা যায়, তা চিন্তা করতে থাকি। শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আলীর সাথে দেখা করলে সে আমাকে জানায়, ড. মল্লিক মাদরাসার জন্য সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেয়ার একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিচ্ছেন। ইউসুফ আমাকে জানাল যে, বঙ্গবন্ধু যাতে এ ফাইল অনুমোদন না করেন সে ব্যবস্থা সে করবে। বঙ্গবন্ধু ফাইলের ওপরে লিখেছিলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ এত দিন ছিল সেটাই থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এ বরাদ্দ বাড়ানো যায় কি না এবং কতটা বাড়ানো যায় তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।’ ইউসুফ পরে আমাকে জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে জানেন এবং এ দেশের মানুষ যে মাদরাসা শিক্ষার পক্ষে তাও তিনি জানেন। সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তিনি মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ করবেন, এটা কল্পনাই করা যায় না।’ এর কিছু দিন পর ড. ইসহাক আলিয়া মাদরাসার কয়েকজন আলেমকে সাথে নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন। তিনি আমাকে জানান যে, আলিয়া মাদরাসার একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা তারা নিচ্ছেন। সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুকে প্রধান অতিথি হিসেবে আনতে চান। কিন্তু তিনি কি আসবেন? আমি হেসে বললাম, ‘আমার যতটা ধারণা, তিনি অবশ্যই আসবেন, আপনারা শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফকে নিয়ে তার সাথে দেখা করুন।’

 
আলিয়া মাদরাসার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি একটি অনন্যসাধারণ ভাষণ বলে আমার মনে হয়েছিল। তিনি তার ভাষণের একপর্যায়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে পাকিস্তান আমলে ইসলামবিরোধী বহু কাজ হয়েছে। রেসের নামে জুয়াখেলা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ছিল, আপনারা আলেম সমাজ কোনো দিন এর প্রতিবাদ করেননি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাহায্যে প্রকাশ্যে জুয়াখেলা চলত, এগুলো বন্ধ করার কোনো আন্দোলন আপনারা করেননি। কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বারবার বলেছেন। ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় জুয়া এবং মদকে যে হারাম ঘোষণা করতে হয়, সেটা আপনারা জানতেন, কিন্তু আপনারা এগুলোর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। আমি ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ঘোড়দৌড় বন্ধ করে দিয়েছি, পুলিশকে তৎপর হতে বলেছি শহরের আনাচে কানাচে জুয়াড়িদের আড্ডা ভেঙে দিতে। আমি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলি, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মবিরোধিতা নয়। আমি মুসলমান, আমি ইসলামকে ভালোবাসি। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন, দেখবেন, এ দেশে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড কখনোই হবে না।’

 
তিনি দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। আমি স্মৃতি থেকে তার কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করলামমাত্র। এ বক্তৃতাটি কোথাও লিখিতভাবে আছে কি না, এ সন্ধান আমি করেছি, কিন্তু কোথাও কিছু পাইনি। আলিয়া মাদরাসার ফাইলের কোথাও এর কোনো উল্লেখ নেই। সেদিনকার বক্তৃতায় শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের সপক্ষের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিলেন, এ কথা আমি দ্বিধাহীনচিত্তে বলব।
সে সময় সরকারিভাবে আমাকে সভাপতি করে ন্যাশনাল একাডেমী অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটের একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তুতি কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলা একাডেমীর পরিচালক, শিল্পী জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দিন আহমেদ, কামরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর হাবিবুল্লাহ এবং আরো কয়েকজন ছিলেন। এই মুহূর্তে সবার নাম আমার মনে পড়ছে না। বাংলাদেশের যারা প্রধান প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাদের প্রায় সবাই এই কমিটিতে ছিলেন।

 

 

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই আমাকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল। প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা বসে বাংলা একাডেমীর পরিচালকের কক্ষে মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায়। প্রতিদিনই সভা বসত এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমরা একটি খসড়া তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর হাতে সমর্পণ করি। ওই খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতেই শিল্পকলা একাডেমী গঠিত হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধু এ উদ্যোগ না নিলে শিল্পকলা একাডেমী গঠিত হতো না। অবশ্য বাংলাদেশ হওয়ার পরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনা হচ্ছিল। পাকিস্তান আমলে একটি আর্টস কাউন্সিল ছিল, সেটারই বিকল্প হিসেবে আমরা শিল্পকলা একাডেমীর প্রস্তাব দিই। দুঃখের বিষয়, বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমী সৃষ্টির ইতিহাস কেউ বলেন না। যদি কেউ বলেন, তবে সেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হয় না এবং আমার নামও উচ্চারিত হয় না। আমার ১৯৭২ সালের ডায়েরির মার্চ মাসের ১৩ তারিখের পাতায় লেখা আছে, আমি একাডেমী অব ফাইন আর্টসের ড্রাফট সংশোধন করে কবীর চৌধুরীর হাতে দিই টাইপ করার জন্য।

উৎসঃ নয়াদিগন্ত

Logo-orginal