, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রের বালুচর পরিণত হলো জনসমুদ্রে

প্রকাশ: ২০১৬-০৯-১৫ ১৪:২৮:৩৩ || আপডেট: ২০১৬-০৯-১৫ ১৪:২৯:২৯

Spread the love
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রের বালুচর পরিণত হলো জনসমুদ্রে
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রের বালুচর পরিণত হলো জনসমুদ্রে

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, কক্সবাজার: যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল পেরিয়ে, ঈদের ছুটিতে অবারিত ঢেউয়ের সুনীল জলরাশিতে ভেসেছে লাখো মানুষ। সাগরের গর্জনে ঘুমভাঙা শহরে একান্ত কিছু সময় কাটাতে ভিড় করেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্যটকেরা। তারা প্রিয়জনের সাথে প্রিয় কিছু মুহূর্ত কাটাতে বেছে নিয়েছেন সাগর, পাহাড় আর দ্বীপ জেলা কক্সবাজারকে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই সমুদ্র রানি কক্সবাজারে চলছে পর্যটকের আগমনী গান। হোটেল-মোটেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বুধবার বেলা চারটা। সমুদ্রসৈকতের সী ইন পয়েন্ট। পশ্চিমাকাশে হেলে পড়া সূর্যের প্রখরতা কমতে শুরু করেছে। ঝিকমিক করা বালুর তেজও কমছে। তবে বাড়ছে নারী পুরুষ আর শিশুদের ঢেউ। সূর্যের হেলে পড়ার সাথে সাথে বাড়ছিল পর্যটকদের আনাগোনা। সময়ের পালাবদলে সমুদ্রের বালুচর পরিণত হলো জনসমুদ্রে।

হাজার হাজার পর্যটকের কক্সবাজার বেড়াতে আসার কারণে শহর ও শহরতলির সব আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো এখন ভরপুর। হোটেল মালিকরা বলছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন কোনো অতিথিকে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে না।

এদিকে হাজার হাজার পর্যটকের কক্সবাজার আসার সুযোগকে পুঁজি করে যথারীতি গলাকাটা ব্যবসা ফেঁদেছে ব্যবসায়ীরা। শহরে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই পর্যটকের‍া আসতে শুরু করেন। দলে দলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে চড়ে পর্যটকেরা ঘুরতে এসেছেন এখানে। এভাবে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে বিকেলের মধ্যেই শহর ও সাগরপাড়ের আড়াই শতাধিক হোটেল সরগরম হয়ে ওঠে। রাস্তাঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। শহর ও সাগরপাড়ের বিপণিকেন্দ্রগুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত দেখা গেছে পর্যটকদের। খাবার হোটেলেও লাইন ধরে খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
কক্সবাজার ছাড়াও পর্যটকেরা ইনানী পাথুরে সৈকত, হিমছড়ি ঝরনা, দরিয়ারনগর ন্যাচার পার্ক, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, আদিনাথ মন্দির, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধাণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, কক্সবাজার শহরের সব কক্ষ ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ অর্থ সম্পাদক ও জিয়া গেস্ট ইন’র মালিক শফিকুর রহমান জানান, ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যটক শহর ও সাগরতটের হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসগুলোতে অবস্থান করছেন।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক বাংলাদেশ) সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিল্কী  জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বুধবার সেন্টমার্টনগামী কোনো জাহাজ চলাচল করেনি। বৃহস্পতিবারও চলাচলের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ঢাকা বাসাবোর পর্যটক রিয়াজ জানান, সাগরপাড়ে রাত কাটাতে বেশ ভালোই লাগছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে এসে পর্যটকরা যাতে বিড়ম্বনার শিকার না হন এবং হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেজন্য বেশ কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিশেষ টিমও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁ ও যানবাহনসহ রিকশায় অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উৎসঃ বাংলানিউজ

Logo-orginal