, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

২৮ অক্টোবরের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে : জামায়াত

প্রকাশ: ২০১৬-১০-২৮ ২০:০৪:৩২ || আপডেট: ২০১৬-১০-২৮ ২০:০৪:৩২

Spread the love
সারাদেশে দোয়া দিবস পালন

২৮ অক্টোবরের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে : জামায়াত
২৮ অক্টোবরের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে : জামায়াত

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ড শুধুই নির্মম ও পৈশাচিক ঘটনা নয়। বরং এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র হত্যা, আধিপত্যবাদী অপশক্তির কালো থাবা বিস্তার, স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্ব দরবারে আমাদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি, আর কখনো যাবেও না। শহীদদের রক্তের পথ ধরেই দেশে ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। 
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড এবং সরকারের গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস ও জুলুম-নির্যাতন -শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নূরুল ইসলাম বুলবুল এ কথা বলেন। শুক্রবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে কেন্দ্রঘোষিত ‘দোয়া দিবস’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী এ সভা ও দোয়ার আয়োজন করেন।

কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ হোসাইন ও ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিশে শুরা সদস্য খন্দকার আবু ফতেহ ও মাওলানা মীর আমিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, আবুল হাসেম, কামাল উদ্দীন আনসারী ও মাওলানা কামাল হোসাইন প্রমুখ।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গুম, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপহরণ ও গুপ্তহত্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। জাতিকে নেতৃত্ব ও মেধাশুন্য করতে তরুণ ও মেধাবীদের বিশেষভাবে টার্গেট করে কথিত ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। যার সূচনা হয়েছিল ২৮ অক্টোবরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে একদিকে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে, অন্যদিকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কবর রচনা করা হয়েছিল। মূলত লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে যারা এই হত্যার প্রকাশ্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তাদের পরিচয় কারো অজানা নয়। তাই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র ও আধিপত্যবাদী অপশক্তির সম্মিলিত পদচারণা চলছে। এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রেই পিলখানা ট্রাজেডির মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস ও দেশের সীমান্তকে অরক্ষিত করা হয়েছে। শাসক দলের হাতে আজ গণতন্ত্র ও দেশ নিরাপদ নয়। ২৮ অক্টোবর ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শোকাহত হলেই চলবে না। শোককে শক্তিকে পরিণত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে জাতিকে জাগ্রত করে লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। ২৮ অক্টোবরের খুনীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।বিজ্ঞপ্তি

Logo-orginal