, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

স্কয়ার থেকে সিআরপি স্থানান্তর, সুস্থ হয়ে লেখাপড়া করবে খাদিজা

প্রকাশ: ২০১৬-১১-২৮ ১৭:০০:১১ || আপডেট: ২০১৬-১১-২৮ ১৭:০০:১১

Spread the love
স্কয়ার থেকে সিআরপি স্থানান্তর, সুস্থ হয়ে লেখাপড়া করবে খাদিজা
স্কয়ার থেকে সিআরপি স্থানান্তর, সুস্থ হয়ে লেখাপড়া করবে খাদিজা

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটে চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে ফিজিওথেরাপির জন্য সোমবার সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) স্থানান্তর করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সরাসরি তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে সিআরপি’তে এলে খাদিজাকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। খাদিজা সিআরপি’র বিশেষ একটি রুমে রয়েছেন। সেখান থেকে তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হবে। তার রুমের সামনে সার্বক্ষণিক একজন সিকিউরিটি রাখা হয়েছে। কেউ এলে সরাসরি তার সাথে সাক্ষাৎ করা যাচ্ছে না। 
খাদিজার সাথে তার বাবা মিশুক মিয়া ও মা মনোয়ারা রয়েছেন। প্রথম দিন প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি এখন একটু একটু করে কথা বলতে পারেন। খাদিজা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে পড়ালেখা করবেন বলে জানান।
সিআরপিতে খাদিজা সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এদিকে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে সিআরপি’তে স্থানান্তর করায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সিআরপি’র হেড অব মেডিকেল সার্ভিস এবং নিউরোলোজি কনসাল্টেন্ট ডাঃ সাঈদ উদ্দিন হেলাল জানান, খাদিজা ভালো আছেন। তার ডান পাশে আঘাতের কারণে বাম পাশ অবশ। এ জন্য শক্তি কম, নড়তে পারেন না। সুস্থ হতে তিন মাস লাগতে পারে। আর আল্লাহ সহায় হলে এর আগেও সেরে উঠতে পারেন। 
যেভাবে কলেজছাত্রী খাদিজাকে আনা হয়
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাঃ আমজাদুল হক জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও ঢাকার সিভিল সার্জন ডাক্তার জাকির হোসেনের নির্দেশক্রমে ভিআইপি মর্যাদায় তার ব্যবস্থাপনায় সকাল সাড়ে নয়টার সময় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সরাসরি কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ফিজিওথেরাপি’র জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্লের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে আসা হয়।

মেডিকেল বোর্ড গঠন
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) খাদিজাকে নিয়ে আসার পর কর্তৃপক্ষ সিআরপির হেড অব মেডিকেল সার্ভিস এবং নিউরোলোজির কনসালটেন ডাঃ সাঈদ উদ্দিন হেলালকে প্রধান করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
এর আগে গত শনিবার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আনুষ্ঠানিক তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালের নিচ তলায় অভ্যর্থনাকক্ষের সামনে হুইল চেয়ারে করে আনা হলে খাদিজা বেগম হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নেড়ে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে সবার দোয়ায় সুস্থ আছি, ভালো আছি বলেন। 
গত ৩ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হলে ওই দিন রাতে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৪ দিন একটানা চিকিৎসা শেষে সোমবার খাদিজা বেগম নার্গিস হাসপাতাল ছাড়েন। 
খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, স্থান পরিবর্তন করায় তাকে একটু বিশ্রামে থাকতে হবে। খাদিজা ভালো আছন। আমরা দেশবাসীর কাছে আমার মেয়ের জন্যে দোয়া চাই। 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শাহ্জালাল বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি), সিলেট শাখার সহসম্পাদক বদরুল আলম ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজাকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই দিন গভীর রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাকে আনা হয়। ওই ঘটনায় শাহ পরান থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করলে বদরুল কারাগারে আছেন।

কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্সিস, বাবা মাসুক মিয়া, মা মনোয়ারা ও সিআরপি’র রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান উর্মি । ছবিটি সোমবার দুপুরে সিআরপি’র কক্ষ ১০৫ থেকে তোলা সুত্রঃ নয়া দিগন্ত

Logo-orginal