, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ইবির অনার্সের ছাত্র আতিকের আত্মহত্যা ও মর্মস্পর্শী চিরকুট

প্রকাশ: ২০১৭-০২-০৬ ২৩:০৩:৪৩ || আপডেট: ২০১৭-০২-০৬ ২৩:০৩:৪৩

Spread the love
ইবির অনার্সের ছাত্র আতিকের আত্মহত্যা ও মর্মস্পর্শী চিরকুট
ইবির অনার্সের ছাত্র আতিকের আত্মহত্যা ও মর্মস্পর্শী চিরকুট

 আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান অসুস্থতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।

আত্মহ্যার আগে আতিকের লেখা মর্মস্পর্শী তিন পৃষ্ঠার এক চিরকুট থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিপন জানান, সোমবার সকাল থেকে আতিকের কক্ষ বন্ধ ছিল। বিকাল পর্যন্ত কক্ষ না খোলায় ছাত্রাবাস থেকে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া আতিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, হতাশা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আতিক আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে একটি নোট লিখে গেছেন তিনি। তার লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আতিকের লাশের সঙ্গে তার কক্ষ থেকে একটি তিন পৃষ্ঠার চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ। আতিকের লিখে যাওয়া চিরকুটের শিরোনাম ছিলো ‘শেষ কথা’।

চিরকুটে আতিক লিখেছেন, দীর্ঘদিন থেকে তার পেটে ব্যথা। এই ব্যাথা তার কাছে অসহ্য ঠেকছে। পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাননি তিনি। তাই বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ।

আত্মহত্যার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিরকুটের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘শুরুতেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ আমি জানি, আমি যা করতে চাচ্ছি তা মহা অন্যায় ও মহাপাপ। আল্লাহ তুমিতো অসীম দয়াময় ও করুণাময়। তুমি তোমার দয়া ও করুণা দিয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

আতিক আরো লিখেন, ‘আমার অনেক স্বপ্ন ছিল আদর্শ ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার। আমি জানি সে সামর্থ্য তুমি আমার ভেতর দিয়েছ। কিন্তু আমার অসুস্থতা দিন দিন আমাকে হতাশ করে তুলছে। আমি এখন আমার চারিদিকে অন্ধকার দেখি।’

‘আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে যদি আমাকে বোঝা হয়ে থাকতে হয়, তাহলে আমি যে এত কষ্ট করে এতদূর পর্যন্ত আসলাম তার সফলতা কোথায়?’ আত্মহত্যার আগমুহূর্তে এমনই অনুভূতির কথা লিখে যান তিনি।

আতিকুর রহমান লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি থানায়। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানালে তাৎক্ষণিক আমি কুষ্টিয়া পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে লাশ উদ্ধার করি। সুত্রঃ যুগান্তর ।

Logo-orginal