, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

ফেনীর জুলেখাকে যুবক সাজিয়ে যা করতে চেয়েছে মা-বাবা

প্রকাশ: ২০১৭-০২-১১ ১৩:০৯:১০ || আপডেট: ২০১৭-০২-১১ ১৩:০৯:১০

Spread the love
ফেনীর জুলেখাকে যুবক সাজিয়ে যা করতে চেয়েছে মা-বাবা
ফেনীর জুলেখাকে যুবক সাজিয়ে যা করতে চেয়েছে মা-বাবা

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ফেনী: বাংলাদেশের এক কিশোরী নাকি জিনের ছোঁয়ায় কিশোর হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, রাতারাতি তার পুরুষাঙ্গও হয়ে গেছে, যেটির আবার খৎনা করা হয়েছে। কিশোরীর এই ‘বিশাল’ পরিবর্তনের খবরে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এলাকায়।

জানা গেছে,উপজেলার জিএম হাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের শফিকুর রহমান পাটোয়ারির মেয়ে বিবি জোলেখা খাতুন সাবিহা(১৫) গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে পুরুষের মত আচরন করতে শুরু করে। সে রাহাতের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী।

 গত শনিবার বিকেলে কথা হয় তার বাবা শফিকুর রহমান পাটোয়ারির সাথে। তিনি দাবি করেন,জ্বীনদের ইচ্ছায় তার মেয়ে ছেলেতে পরিনত হয়েছে।গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়ের আচরনে পরিবর্তন ঘটে। মেয়েটির লিঙ্গও পরিবর্তন হয়েছে বলে তার বাবার দাবি।তিনি বলেন,জোলেখাকে বাজারে নিয়ে নাপিতের সাহায্যে তার মাথার চুল ছেটে ফেলা হয়েছে।তার নাম রাখা হয়েছে হৃদয় চৌধুরী শুভ। মাথায় টুপি,গায়ে শাট ও লুঙ্গী পড়েছিল মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর হওয়া শুভ।এ ঘটনা জানাজানির পর শত শত মানুষ শফিকুর রহমান পাটোয়ারির বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন।

 

কিন্তু পুলিশ আবিষ্কার করল এক ভিন্ন ঘটনা। জুলেখার বাবা-মা আসলে পয়সা উপার্জনের এক উপায় হিসেবে ব্যবহার করেন জুলেখাকে। ফেনীর ফুলগাজীর এই দম্পতি স্থানীয়দের জানান যে, জিনের সহায়তায় বিভিন্ন রোগবালাই, এমনকি লিঙ্গ পরিবর্তনও করতে পারেন তারা। প্রমাণ হিসেবে নিজেদের মেয়েকে ছেলে সাজিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন।

সরলমনা স্থানীয় মানুষ তাদের গল্পে বিশ্বাস করে রোগবালাই সারাতে জিনের সহায়তাও নিয়েছেন বলে খবর। টাকার বিনিময়েই তা করেছেন তারা।

বাধ সেধেছে পুলিশ। ১৫ বছর বয়সি জুলেখাকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেল শারীরিকভাবে আসলে তার কোনো পরিবর্তনই হয়নি। বরং তার যৌনাঙ্গের কাছে একটি রাবারের তৈরি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ বেঁধে তাকে পুরুষ হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিল তার বাবা-মা। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ জানান, কিশোরী এবং তার পিতামাতা জিনের মাধ্যমে মানুষের রোগবালাই সারানোর এক লাভজনক ব্যবসা শুরু করেছিল।

আপাতত তাদের সবারই জায়গা হয়েছে কারাগারে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনার প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের প্রায় নব্বই শতাংশই মুসলমান। দেশটির পল্লী অঞ্চলের অনেক মানুষ জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। আর এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে কেউ কেউ ব্যবসা করেন। রোগবালাই থেকে নিস্তার ছাড়াও অনেক সময় অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতেও জিনের আশ্রয় নেয়া হয়। তবে এই কুসংস্কারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

Logo-orginal