, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

ইচ্ছে করলেই কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-২০ ১৪:০৩:০৭ || আপডেট: ২০১৭-০৩-২০ ১৪:০৩:০৭

Spread the love
ইচ্ছে করলেই কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে
ইচ্ছে করলেই কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ  যারা কানাডায় বাস করতে চান, চাকরি করতে চান তাঁদের জন্য চলতি বছরটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছে করলেই কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে এ বছর। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আরো বেশি সংখ্যক লোকজন ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রাথমিক ভাবে আবেদন করার যোগ্যতা যাঁদের আছে তাঁদের আর দেরি না করে একজন দক্ষ আইনজীবীর সহায়তায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে যথাসময়ে আবেদন করা উচিত। মনে রাখতে হবে কানাডা সরকার আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে কাজ করে।

২০১৭ সালে ইমিগ্রেশন পলিসিতে যে নতুন বিষয়গুলো যোগ হয়েছে, তা হচ্ছে,

ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার ক্লাস, ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স ক্লাস এবং কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাসের অধীনে গতবারের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি পরিবার ইমিগ্রেশনের সুযোগ পাবে।

কানাডা সরকারের লক্ষ প্রভিনসিয়াল নমিনি প্রোগ্রামসের অধীনে অন্তত ৫১ হাজার নতুন ইমিগ্র্যান্টকে বসবাসের সুযোগ দেওয়া।

কুইবেক প্রভিনসিয়াল সরকার কুইবেক স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামের আওতায় আনুমানিক ২৯ হাজার নতুন ইমিগ্র্যান্টকে বসবাসের এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিবে তাদের অঙ্গরাজ্যে।

গত বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন ইমিগ্র্যান্ট প্রত্যাশীরা।

ফ্যামিলি ক্লাস স্পনসরশিপ প্রোগ্রামের আওতায় স্ত্রী/স্বামী, শিশু, বাবা ও মা এবং দাদা, দাদি আরো সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়ায় ইমিগ্রেশন করতে পারবে।

নতুন নিয়মে পিএনপি, এক্সপ্রেস এনট্রি, এফএসডব্লিউপি, এফএসটিপি, কিউএসডব্লিউপি, এআইএনপি, এসআইএনপি, এমপিএনপি, এনএসএনপি, বিসিপিএনপি, ওআইএনপি, আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম, কেয়ারগিভার, বিজনেস, ফ্যামিলি স্পনসরিশপ, অ্যামপ্লয়মেন্ট স্পনসরশিপসহ নতুন নতুন বিভিন্ন প্রোগ্রামে সহজ নিয়মে পেশাজীবীদের ইমিগ্রেশন প্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ আছে।

কানাডা সরকার পরিচালিত বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে আবেদনকারীরা মূলত আবেদন করতে পারবেন-

১. এক্সপ্রেস এনট্রি

২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে এক্সপ্রেস এনট্রির সর্বশেষ ড্র। সর্বমোট দুই হাজার ৯০২ জন আমন্ত্রণপত্র পেয়ে যান ওই ড্রতে। সিআরএস পয়েন্ট নেমে এসেছে ৪৬৮। এক্সপ্রেস এনট্রি মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত, তা হলো, ১. ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার ২. ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার ৩. কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস। এখানে প্রফেশনের কোনো ধরাবাধা লিস্ট নেই, নেই কোনো কোটা ব্যবস্থা।

২. প্রভিনিসিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম (পিএনপি)

কানাডার মোট ১১টি অঙ্গরাজ্য বা প্রভিন্স ইমিগ্রেশন করার জন্য আবেদনকারীদের নমিনেশন দিতে পারে। একেক প্রভিন্স একেক সময় তাদের প্রোগ্রাম উন্মুক্ত করে দেয়।সাধারণত প্রভিনসিয়াল প্রোগ্রামের শর্তগুলো আলাদা হয়। যোগ্য আবেদনকারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করা উচিত। তবে এই ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হয় প্রোগ্রামের সময়কাল সম্পর্কে।অনেক শর্তই এই ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য আবার কিছু কিছু নতুন শর্তও আরোপ করতে দেখা যায়।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিনসিয়াল প্রোগ্রাম, সাসকেচেওয়ান ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম এবং ওন্টারিও ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম এখন চালু আছে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিনসিয়াল প্রোগ্রাম

আইইএলটিএস এ ৫ দশমিক ৫ সহ ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা কেবল গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী থাকলেই কানাডার অন্যতম সুন্দর এই অঙ্গরাজ্যে আবেদন করতে পারেন।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিনসিয়াল প্রোগ্রাম চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। এগুলো হলো, এক্সপ্রেস এনট্রি বিসি, স্কিলড ওয়ার্কার ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রাজুয়েট, স্কিল ইমিগ্রেশন, এনট্রি লেভেল সেমি স্কিলড।

সাসকেচেওয়ান ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম

কানাডার অন্যতম সেরা এবং উন্নত অঙ্গরাজ্য সাসকেচেওয়ানে বর্তমানে সুযোগ আছে। কিছু বিশেষ পেশাজীবীর জন্য খুব সহজ আনুষঙ্গিক শর্ত পূরণ করে আবেদন করার এবং দ্রুততম সময়ে সপরিবারে ইমিগ্রেশন ভিসা পাওয়ার।

আপনি যদি এখানে দেওয়া কোনো পেশার আওতাভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে দ্রুত কাগজপত্র গোছাতে পারেন। এগুলো হচ্ছে, কম্পিউটার বা ইনফরমেশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার / অ্যানালিস্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, এনজিও কর্মকর্তা, সোশ্যাল ওয়ার্কার, প্রকল্প পরিচালক, কৃষি কর্মকর্তা, সাপ্লাই চেইন/পারচেজ ম্যানেজার, গণিতবিদ বা পরিসংখ্যানবিদ।

ওন্টারিও ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম

কানাডায় যারা পড়াশোনা করেছে, যাদের কানাডায় চাকরি করার যোগ্যতা রয়েছে, যাদের কানাডা থেকে চাকরির অফার রয়েছে অথবা যারা ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তারাই এই নির্দিষ্ট প্রভিন্সে আবেদন করে স্থায়ী হতে পারবে।

আবেদন করার ডেডলাইন :

প্রোফাইল তৈরি করার পর মাত্র ১৪ দিন সময় থাকে যেকোনো স্কিমে আবেদন শেষ করার।

ইমিগ্রেশন

কুইবেক কানাডার একটি অঙ্গরাজ্য হলেও এর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আলাদা ও স্বতন্ত্র। বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ করে তাদের প্রোগ্রাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সাধারণত কুইবেকের শর্ত বা যোগ্যতাসমূহ অনেক সহজ ও শিথিলযোগ্য থাকে। কুইবেকের প্রোগ্রামগুলো মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে যেমন : ১. দ্য কুইবেক স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম ২. এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম ৩. কুইবেক এক্সপেরিয়ান্স ক্লাস। প্রতিটি প্রোগ্রামের নিজস্ব শর্তাবলি রয়েছে। প্রয়োজন ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো কোনো আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে আপনারা আবেদন করতে পারেন।

১. ফেডারেল স্কিলড ট্রেডস প্রোগ্রাম (এফএসটিপি)

কারপেন্টার, ইলেকট্রিশিয়ানস, প্লাম্বার, ওয়েল্ডার্সের মতো কিছু পেশাজীবী সরাসরি এই প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন করে জবসহ ইমিগ্রেশন লাভ করতে পারেন। তবে তাদের বিদেশি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। কন্সট্রাকশন, চিফ কুক, বেকার, ফিস প্রোসেসিং, ইলেকটিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদ পরিচালনা, কৃষিকাজ ইত্যাদিরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে কানাডায়। যোগ্য পরিবারের সদস্যরাও এই প্রোগ্রামের আওতায় কানাডায় যেতে পারবে। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের যে কেউ আবেদন করতে পারবে। এই প্রোগ্রামের প্রক্রিয়া অতি সহজ ও দ্রুতসময়ে সম্পন্ন হয়।

ফ্যামিলি ইমিগ্রেশন

ফ্যামিলি স্পনশনশিপের আওতায় কানাডায় ইমিগ্রেশন হওয়া সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত হয়। তবে যাদের নিকটাত্মীয় নেই তারা এই সুযোগ পাবে না।

এই দুটা প্রধান ক্যাটাগরি বাদ দিলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা বিভিন্ন ‘ইনভেস্টর’ প্রোগ্রামেও পরিবারসহ ইমিগ্র্যান্ট হতে পারবে।

জবসহ সবচেয়ে সহজ ও ভালো একটি অফার হচ্ছে কেয়ারগিভার্স প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ থেকে এই প্রোগ্রামে আবেদন করে অতি দ্রুত কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।

কেয়ারগিভার্স প্রোগ্রাম

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হতে পারবেন। কেবল সনদধারী নার্সরা আবেদন করতে পারবেন। অন্যসব প্রচলিত প্রোগ্রামের মতো ৬৭ পয়েন্ট বা সিআর ১২ শত পয়েন্টের প্রয়োজন নেই। নার্সিংয়ে যাঁদের ডিপ্লোমা বা বিএসসি (নার্স) আছে এবং ন্যূনতম আইইএলটিএস ৫ আছে, তাঁরাই সরাসরি আবেদন করে চাকরিসহ কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন লাইভ ইন কেয়ারগিভার প্রোগ্রামের (এলসি) মাধ্যমে। শিশু শিক্ষা ও যত্ন, বয়স্কদের সেবা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া এঁদের প্রধান কাজ।

এ ছাড়া আইটি প্রফেশনাল, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার, এইচ আর, অ্যাডমিন,ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং , অ্যাডমিন (এইচআর), ইনফরমেশন সিস্টে অ্যানালাইসিস অ্যান্ড কনসালট্যান্টস, মিডিয়া ডেভেলপার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রিটেইলস সেলস সুপারভাইজর, গ্রাফিক ডিজাইনার, ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ব্যাংকার্স ইত্যাদি পেশাজীবীর আবেদন করার সুযোগ আছে।

সূত্র: Worldwide Migration Consultants Ltd.

Logo-orginal