, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin admin

পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বস্তি বার্সেলোনার

প্রকাশ: ২০১৭-০৩-০৯ ০৯:১২:৫৬ || আপডেট: ২০১৭-০৩-০৯ ০৯:১২:৫৬

Spread the love
পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বস্তি বার্সেলোনার
পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বস্তি বার্সেলোনার

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ক্রীড়া ডেস্কঃ  ভালোবাসা দিবসে পিএসজির মাঠ থেকে ৪-০ গোলে হেরে আসার পর বার্সেলোনা শুরুতে হাল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহে ছবিটা বদলে গেছে। বুধবার রাতে ন্যুক্যাম্পজুড়ে বইয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসের দামাল হাওয়ায় পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিল মেসি-নেইমাররা।

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে পিএসজির মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। ন্যুক্যাম্পে অগ্নিগর্ভ ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে।

ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই নেইমার ঘোষণা দিয়েছিলেন, পিএসজির বিপক্ষে আমরা সর্বস্ব দিয়ে লড়ব। ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। বুধবার আমরা খুবই ভালো খেলব।’
নেইমার কথা রেখেছেন। বার্সা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার ক্ষেত্রে তার নৈপুণ্য অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে শিহরণ জাগানো ওই ম্যাচের মূল নায়ক বনে যান এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। খেলার ৮৮ মিনিটে তার নেয়া অসাধারণ ফ্রি কিকই বার্সা শিবিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস এনে দেয়। আর তিন মিনিট পর পেনাল্টি গোল করে দলের বিশাল ব্যাবধানে জয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

খেলার যোগ করা অতিরিক্ত ৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে নেইমারের বাড়িয়ে দেয়া বলে গোল করেন রবের্তো। বাকিটা ইতিহাস।


ইতিহাস বলছে, এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে প্রথম লেগের চার গোলের ঘাটতি পুষিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার নজির নেই কোনো দলের। কিন্তু বার্সেলোনা বলে কথা!

গত এক দশকে ইতিহাসের পাতা বহুবার রাঙিয়েছে যারা, তাদের পক্ষে আরেকটি নতুন ইতিহাস লেখা খুবই সম্ভব! লা লীগায় শেষ দুই ম্যাচে ৬-১ ও ৫-০ গোলের বিশাল জয়ই এতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল কাতালানদের।

ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক এ জয়ের ম্যাচে বার্সেলোনার শুরুটা হয়েছিল ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’-প্রবাদের মতই। খেলার তৃতীয় মিনিটে  সুয়ারেসের চমৎকার হেডে বল যায় গোলপোস্টে। সেটি পা দিয়ে ফেরান মুনিয়ে। কিন্তু গোল লাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল গোললাইন পেরিয়েছে।  

সপ্তদশ মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন নেইমার। কিন্তু বল পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এর আগে ও পরে দুটি ফ্রি-কিক পায় বার্সেলোনা; কিন্তু ব্যর্থ হন মেসি। ৩৫তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি সুয়ারেস।

খেলার ৪০তম মিনিটে পিএসজির রক্ষণভাগের ভুলে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বার্সা।  বাঁ-দিক থেকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ব্যাকহিল করে গোলমুখে বল বাড়ান। ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার লেইভিন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লেইভিন নিজেদের ডি-বক্সে নেইমারকে ফেলে দিলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। পেনাল্টিতে (৫০তম মিনিটে) গোল করেন মেসি।
এবারের আসরে পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকার এটি একাদশ গোল। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় তার মোট গোল সংখ্যা ৯৪টি।

৬২তম মিনিটে ম্যাচে ন্যুক্যাম্পকে স্তব্ধ করে দেন কাভানি। ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের এ স্ট্রাইকার। আর পরের গোলসমূহ আসে নেইমার আর রবের্তোর অবদানে। সুত্রঃ যুগান্তর ।

Logo-orginal