, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

ধর্মান্ধ চিন্তা চেতনা মাথা থেকে দূরীভূত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করুন

প্রকাশ: ২০১৭-০৫-২৭ ১৯:২৯:৪৫ || আপডেট: ২০১৭-০৫-২৭ ১৯:৩০:৩৫

Spread the love
 ধর্মান্ধ চিন্তা চেতনা মাথা থেকে দূরীভূত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করুন
ধর্মান্ধ চিন্তা চেতনা মাথা থেকে দূরীভূত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করুন

মূর্তি ও ভাস্কর্যের পরিচিত:

মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়, যদিও দুটি মানবসৃষ্ট তবে এদের নাম ও ব্যবহারের ভেদাভেদ রয়েছে।

মূর্তি বলতে আমরা বুঝি, এমন একটি মানবসৃষ্ট আকৃতি যাকে পূজা করা হয়।

আর ভাস্কর্য পুরোটাই ভিন্ন। ভাস্কর্য বলতে কোন জাতির ইতিহাস বা কোন লোকানো ভাষার একটি প্রতিকৃত বলা যায়।

 

যদিও কিছু কিছু ভাস্কর্য দেখতে মূর্তির মতই তবে মূর্তি নয়।

ভাস্কর্যকে কখনো পূজা করা হয়না।

 

মূল আলোচ্য বিষয়: সুপ্রিম কোর্ট এর সম্মুখে গ্রীক ভাস্কর্য।

 

আলোচনা:

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ বিচারালয়। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘুদের কারোও হাত নেই। বাংলাদেশ যদিও বা মুসলিম রাষ্ট্র তবে এদেশে মুসলিম ছাড়াও হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান জাতি বসবাস করে। সুতরাং প্রথম কথা হলো মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান হোক আমরা সকলেই বাঙ্গালি।

সুপ্রিম কোর্টের চত্বরে যে ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছিলো সেটি আমরা বাঙ্গালির সাথে কোন সম্পর্কযুক্ত নয়। সেটি ছিলো একটি গ্রীক ভাস্কর্য।

যদিও এটি গ্রীক ভাস্কর্য, সেই গ্রীক ভাস্কর্য বাংলায় চালিয়ে দেওয়ার জন্য পড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো বাংলার ঐতিহ্য শাড়ী।

সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ, আর এই গ্রীক ভাস্কর্য ছিলো পুরোটাই বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী।

 

হেফাজতে ইসলাম এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে, আর সেদিন জননেত্রীও তাদের দাবীর সাই জানিয়েছিলেন, এর মানে এই নয় যে কোন একটি মহলকে খুশি বা অন্য কোন মহলকে নাখোশ করার জন্য এই ভাস্কর্য সরানো হয়নি, মূলত বাংলাদেশের সংস্কৃতি রক্ষার লক্ষে এই ভিনদেশী সংস্কৃতি, গ্রীক ভাস্কর্য সরানো হয়েছে।

এবং সুপ্রিম কোর্ট এর মূর্তি সরানোর ব্যাপারে যদিও বা প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামকে সাই দিয়েছিলেন তবে এটি স্থাপন বা সরানোর পেছনে নেত্রীর কোন হস্তক্ষেপ সেখানে ছিলো না।বরং এটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  কোন একটি মহল বাংলাদেশের রাজনীতিকে অশালীন ও উশৃঙ্খল করার লক্ষে বাংলাদেশের সুউচ্চ স্থল সুপ্রিমকোর্টের সম্মুখ চত্বরে এই ভাস্কর্য স্থাপন করেছিলেন।

আর আজ সেই মহলই ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষদের উসকিয়ে দিচ্ছেন সরকারের বিরুদ্ধে।

হ্যা আমি এটা মানি যে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সংস্কৃতির রক্ষার লক্ষে এ ভাস্কর্য সরানোর দাবী করেননি, তারা ধর্মান্ধ হয়ে এ দাবী করলেও প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের সংস্কৃতি রক্ষার্থে এই ভাস্কর্য সরানোর নির্দেশ দেন।

আর যারা বলছেন ইসলামিক দেশেও ভাস্কর্য আছে আমিও মানি হ্যা আছে তবে ভিনদেশী সংস্কৃতির ভাস্কর্য নয়, বরং তা নিজ নিজ দেশীয় ভাস্কর্য।

 

সুতরাং,  ধর্মান্ধ চিন্তা চেতনা মাথা থেকে দূরীভূত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করেন, অবশ্যই এই বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে বলবে, আমিই বাংলাদেশ।

লেখকঃ মোহাম্মদ হানিফ, মালেশিয়া ছাত্রলীগ নেতা।

Logo-orginal