, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

৫৭ ধারা যতক্ষণ পর্যন্ত, আছে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলা হবে” আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৭-০৭-০৯ ১৭:৫৭:০০ || আপডেট: ২০১৭-০৭-০৯ ১৭:৫৮:০৭

Spread the love
৫৭ ধারা যতক্ষণ পর্যন্ত, আছে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলা হবে" আইনমন্ত্রী
৫৭ ধারা যতক্ষণ পর্যন্ত, আছে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলা হবে” আইনমন্ত্রী

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ যদি এই ধারায় কোনো অপরাধ হয়, তাহলে মামলা হবেই।আজ রোববার সচিবালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভাশেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সভাশেষে আইনমন্ত্রী বলেন, সভায় ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, সেখানে ‘অনেক কিছুই’ এসেছে। তবে সেসব বিষয়ে এই সভায় চূড়ান্ত নিদ্ধান্ত হয়নি। আজকের আলোচনায় যেসব কথাবার্তা এসেছে, তার একটা রূপরেখা করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে এনে আমরা আগামী অগাস্ট মাসে এটার একটা ড্রাফট নিয়ে আবার মিটিংয়ে বসব। সেই মিটিংয়ে বসে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। সেখানে ৫৭ ধারা সম্পর্কে আমাদের সিদ্ধান্ত আপনারা পাবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই ধারাটা আছে ততক্ষণ পর্যন্ত যদি এই ধারায় কোনো অপরাধ হয় তাহলে কিন্তু মামলা হবে। এটা নিয়ে তো আর কিছু বলা যাবে না। কিন্তু মামলা হওয়াটাই শেষ নয়। মামলা হওয়ার পরে এই ধারায় চার্জশিট দেওয়ার আগে ইনভেস্টিগেশন একটা হয়। সেই ইনভেস্টিগেশন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে, সেটা আপনাদের আমি আশ্বস্ত করতে পারি।৫৭ ধারায় বেশিরভাগ মামলা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আপনারা যদি কনসার্ন থাকেন, আমি তা নোট করব এবং তা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি… তারা যেন বিবেচনা করে ইনভেস্টিগেশনটা চালায়।মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলে আসছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি হলে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা থাকবে না। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’-এর খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং (যাচাই-বাছাই) পর্যায়ে রয়েছে।এর আগে আইনমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না। নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ আইনে ৫৭ ধারার বিষয়ে পরিষ্কার করা হবে।
২০০৬ সালে আইসিটি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। এই আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কার্য হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধের জন্য অনধিক ১৪ বছর ও অন্যূন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ড দেওয়া যাবে।
এ বছরের প্রথম ছয় মাসে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০ টির বেশি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছেন।
২০১৫ সালে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেপ্তারের পর ধারাটি বাতিলের জন্য বিভিন্ন পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। এখন এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে সরকার ৫৭ ধারা পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। উৎসঃ আমাদের সময় ।

Logo-orginal