, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

বগুড়ার সেই কিশোরীকে সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশ: ২০১৭-০৮-০৭ ১৮:১০:১৫ || আপডেট: ২০১৭-০৮-০৭ ১৮:১০:১৫

Spread the love
বগুড়ার সেই কিশোরীকে সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ
বগুড়ার সেই কিশোরীকে সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ

 

আরটিএমনিউজ২৪ডটকমঅনলাইন ডেস্কঃ বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে কিশোরীর মাকে বাড়িতেই পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে বগুড়া শিশু আদালত-১ এর বিচারক মো. ইমদাদুল হক এ আদেশ দেন।এ ঘটনায় দায়ের দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ পরিবর্তন ডটকমকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ার পর মা-মেয়ে বাসায় ফিরবেন, নাকি কোনো সেফহোমে যাবেন, সেই সিদ্ধান্তের জন্যই আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত মাকে বাড়িতে নিরাপত্তা এবং মেয়েকে সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

এর আগে সোমবার সকালে মা-মেয়েকে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেয়। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল মোত্তালেব হোসেন জানান, মা-মেয়ে দু’জনই এখন শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। এ কারণে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এখন তারা হাসপাতাল থেকে কোথায় ফিরবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।

এর আগে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর ছাত্রী এবং এ ঘটনায় করা দুটি মামলার বাদী ছাত্রীর মাকে হাসপাতালে নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী হাসপাতালে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার।

বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তার সহযোগীরা এবং স্ত্রীর বোন নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন।

ঘটনার ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে তারা নির্যাতন চালায়। এরপর নাপিত ডেকে এনে দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।

এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দফায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এছাড়া তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে বড় ভাইয়ের হাত ধরে এতো প্রভাব তুফান সরকারের; তার বড় ভাই আব্দুল মতিন সরকারকেও শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উৎসঃ পরিবর্তন ডটকম ।

Logo-orginal