admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৬ ০১:০১:২০ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৬ ০১:০১:২০
রায়হান আজাদ, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রামঃ আমরা সবাই জানি, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট টু কক্সবাজারের প্রধান সড়কটির নাম আরাকান সড়ক।
এ সড়কের দু‘পাশে গড়ে উঠেছে শত শত মুসলিম জনপদ। এসব জনপদের সাথে আরাকান রাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত সুনিবিড় ও ঐতিহাসিক।
চট্টগ্রামের কিংবদন্তি ব্যবসায়ী আবদুল বারী চৌধুরী (১৮৭০-১৯৪৪) ছিলেন আরাকানের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং তদীয় জামাতা সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও এ.কে. খান শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এ.কে. খান (১৯০৫-১৯৯১) এর বিয়েও হয় আকিয়াবে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-সমাজসেবায় ব্যাপক অবদান রাখেন আরাকানে। মাওলানা মুনীরুজ্জমান ইসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০) ১৯২৭ সালে রেঙ্গুনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাপক তৎপরতা পরিচালনা করেন।
হাটাহাজারী মাদরাসার প্রথম ছেরপোরস্ত এবং যার নামে পটিয়া মাদরাসার নামকরণ হয় সেই মাওলানা যমীরুদ্দীন রহ. (১৮৭৮-১৯৪০) ইমামতি ও পড়াশোনা করেন রেঙ্গুনে।
মাওলানা হাফেজ আহমদ প্রকাশ চুনতীর শাহ সাহেব (১৯০৪-১৯৮৩) তো ইমাম থাকাকালে মায়ানমারেই এক মসজিদে আধ্যাত্মিক মর্তাবা লাভ করেন। বিশিষ্ট উর্দু কবি হাকীম ইসমাঈল হিলালী (১৯১৭-১৯৮৮) ও আবু কাওয়াল (১৯১১-১৯৭৫) যশ-খ্যাতি অর্জন করেন রেঙ্গুনে। বায়তুশ শরফের রূপকার শাহ মাওলানা আবদুল জব্বার (১৯৩৩-১৯৯৮) এর জন্মই তো হয় বার্মার থাংগু জেলায় পিনজুলুক বাঙ্গালী বস্তিতে, তার বাবা সেখানকার এক মসজিদের ইমাম ছিলেন। মাওলানা আবদুস সালাম আরাকানী রহ. এর বহু খলীফা ও মুরীদ রয়েছে আমাদের এ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। এছাড়া আমাদের আরো বহু দাদা-পরদাদা ও মুরব্বী ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বার্মায় গমন করেন।
তাদের অনেকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তুলে প্রজন্ম পরম্পরায় বসবাস করে। আজ তাদের সন্তান-নাতী-পূতীদেরই বার্মার মগ-সেনারা জীবন্ত দগ্ধ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিতাড়িত করছে। এ ভাগ্য বিড়ম্বিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আমরা কিছুতেই পর ভাবতে পারি না। তাদের জন্য সাধ্যানুসারে সবকিছু করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সংগ্রহে# তানভীরুল হাসান।