admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৯ ১৭:০৮:৫৫ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৯ ১৭:০৮:৫৫
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, মধ্যপ্রাচ্যঃ কাতার-সৌদির সংকটে বরফ গলতে পারে শুরু হয়েছে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা । কাতার নিউজের অনলাইন এডিশনে বিভিন্ন সুত্রের বরাত দিয়ে করা লিড নিউজ এইটি ।
দুই নেতার ফোন আলাপকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হিসাবে দেখছে বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকাগুলি ।
গতকাল শুক্রবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারের নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার পর দুই দেশের মধ্যে এ টেলিফোন আলাপ হয়।
কাতারের আমির সৌদি আরবকে আলোচনার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলো কাতারের কাছে যেসব দাবি তুলে ধরেছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনায় আগ্রহী।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জোগানোর অভিযোগ এনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরসহ চারটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
যদিও সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেবার অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করছে।
সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, টেলিফোন আলাপের সময় কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চারটি দেশের দাবি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার।
বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব বাকি তিনটি দেশ- বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথা বলবে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের হুমকি মোকাবেলার জন্য সে অঞ্চলে আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।
সৌদি আরবসহ চারটি দেশ কাতারের কাছে যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সংবাদ-ভিত্তিক চ্যানেল আল-জাজিরা বন্ধ করা এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
আল জাজিরা ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোন মানসিক প্রস্তুতি নেই কাতারের, দাবী উচ্চ পদস্থ কাতারি কর্মকর্তার ।
তবে কাতার সব বলে আসছে শর্ত দিলে কোন আলোচনা হবে না ।