, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

তোপের মুখে পড়ার ভয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছেন না মায়ানমারের ক্ষমতাসীন নেত্রী অং সান সু চি”

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১৩ ১০:৩৯:৩৩ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১৩ ১০:৩৯:৩৩

Spread the love
তোপের মুখে পড়ার ভয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছেন না মায়ানমারের ক্ষমতাসীন নেত্রী অং সান সু চি"
তোপের মুখে পড়ার ভয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছেন না মায়ানমারের ক্ষমতাসীন নেত্রী অং সান সু চি”

ফাইল ফটো, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, নিউজ ডেস্কঃ বিশ্ব  নেতাদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছেন না মায়ানমারের ক্ষমতাসীন নেত্রী অং সান সু চি ।

গত ২৪ আগস্ট থেকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ আর সমালোচনার মুখে আজ জরুরী অধিবেশনে বসছে জাতিসংঘ। তবে ভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না মায়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি।  সংবাদ বিবিসি ও রয়টার্সের।

সু চি যে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না তা মঙ্গলবার বার্মিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিউ জেইয়া দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিশ্চিত করেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোযোগ দিতেই সু চি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ইউ কিউ জেইয়া বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এ সময়ে তার দেশে থাকা উচিত। সামগ্রিক বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে তিনি দেশেই থাকছেন।

জানা যাচ্ছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সু চি’র বদলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান থিও মায়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বার্মিজ কর্তৃপক্ষের ধারণা সু চি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিলে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে পারেন।

এদিকে অব্যাহত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও মায়ানমারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে চীন।

মঙ্গলবার এ ইস্যুতে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে চীন। তবে সেখানে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে মায়ানমার সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও একে সমর্থন জানানো উচিত। আশা করি, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনা হবে।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের প্রাক্কালে মঙ্গলবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মায়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। দুই দেশেই অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মায়ানমারের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের অভিযোগ, এর আগেও রোহিঙ্গা-সংকটকে জাতিসংঘের শীর্ষ কাউন্সিলে উত্থাপনে বিরোধিতা করে বেইজিং।

Logo-orginal