admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১২ ০৯:৫৬:৩৭ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১২ ০৯:৫৬:৩৭
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে এসে আবু ছাদেক মোহাম্মদ রুবেলের উপলব্ধি:
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রামঃ রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে হ্রদয়ের ব্যথা জানালেন মানবসেবী লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজন ইউনিয়নের তরুণ আবু ছাদেক মোহাম্মদ রুবেল ।
এক মায়ের অসহায়ত্বের কথা যেভাবে লিখলেন এই যুবক ।
উখিয়া টেকনাফের পুরো রাস্তায় জুড়ে হাজার হাজার অসহায় রোহিঙ্গাদের অবস্থান দেখতে পেলাম। যেখানে দেশের অসংখ্য মানুষ তাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাজার হাজার মানুষের মাঝে শৃঙ্খলার সাথে ত্রাণ বিতরণ করা কারো পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ত্রাণের গাড়ি দেখলেই সবাই গাড়ির পিছনে ছুটছে সামান্য কিছু ত্রাণ পাওয়ার আশায়। কেউ হয়তো কিছু ত্রাণ পাচ্ছে কেউবা খালি হাতেই ঘুরছে। আমরা যে সামান্য ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলাম , তা আমরা সবচেয়ে অসহায় বয়স্কদের হাতে দেয়ার চেষ্টা করেছি। ত্রাণ বিতরণ শেষ করে কিছুক্ষণ রাস্তা দিয়ে হেটে তাদের অবস্থা দেখলাম।
মারাত্মক করুণ অবস্থা যা আসলেই অবর্ণনীয়।
কিছু পথ হেটে দেখলাম , রাস্তার এক পাশে দুইটা বাচ্চা নিয়ে এক মা দাঁড়িয়ে আছে । জানতে চাইলাম কি সমস্যা , বললেন পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বৌদ্ধের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে কোনভাবে বাচ্চা দুইটা নিয়ে এখানে চলে এসেছে । দু’দিন হয়ে গেছে এখনো থাকার মতো কোন জায়গায় ঠিক করতে পারেনি।
অসংখ্য অসহায়দের ভীড়ে তিনি কোন ত্রাণ সামগ্রীও পায়নি।
বাচ্চাদের চেহারার দিকে থাকালে বুঝা যাচ্ছে তারা অনেকদিনের ক্ষুধার্ত। কিন্তু আমাদের ত্রাণ সামগ্রী শেষ হয়ে যাওয়ায় সামান্য টাকা ছাড়া কিছু দিতে পারলাম না।
এরা পারছে না কিছু করতে/বলতে শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মারাত্মক অসহায়ত্ব অনুভব করছে।
আসুন সবাই সবার স্থান থেকে অসহায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি। মনুষত্ব আর মানবিকতার চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে বিশ্বকে জানিয়ে দেইঃ চরম স্বার্থপরতার যুগে এখনো দয়ার্দ্র মানুষেরা বেঁচে আছে।
ওয়ামা তাওফীকী ইল্লাবিল্লাহ। আমিন ।