admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১৯ ০৯:১৮:৪৭ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১৯ ০৯:১৮:৪৭
ফাইল ছবি, আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, চট্টগ্রামঃ বেড়ে চলেছে চাউলের মুল্য । অস্থির বাজারে নাখাল ক্রেতারা । গত এক সপ্তাহে সংবাদ শিরোনাম হয়ে আসছে খাদ্য মন্ত্রনালয়, কিন্তু চাউলের বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি ।
মাত্র পাঁচ দিন আগে প্রথম আলোর সম্পাদকীয় স্তম্ভে চালের দাম আর কত বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই উদ্বেগ কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে গত শনিবার পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। রোববার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা গেল, মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকার মেসার্স স্বর্ণা অটো রাইস মিল ঈদুল আজহার পর প্রতি কেজি সরু মিনিকেট চাল বিক্রি করেছিল ৫৩ টাকা দরে। গত শনিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা। ১০ দিনে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা। আর মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রোববার থেকে সরকার দ্বিগুণ দামে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) শুরু করেছে। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হবে ১৭ টাকায়। গত বছর এই চাল ১৫ এবং আটা ১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছিল। সরকারের খোলাবাজারে চাল বিক্রি কর্মসূচি শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আগের চেয়ে দ্বিগুণ দাম নিলেও সরকার আতপ চাল সরবরাহ করেছে, যার প্রতি সাধারণ ক্রেতাদের আগ্রহ কম। ক্রেতারা আশা নিয়ে চাল কিনতে এসে আতপ দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা গেছে। এ অবস্থায় ওএমএসের প্রভাব বাজারে না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে সেদ্ধ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত, সেখানে কেন আতপ চাল আমদানি করা হলো খাদ্য মন্ত্রণালয় সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে কি? মন্ত্রীরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন, তাকে স্বাগত জানাই। তবে এ ক্ষেত্রে দলীয় লোকদের ছাড় দেওয়ার বদভ্যাস বন্ধ করতে হবে। আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।
দুর্ভাগ্যজনক হলো, শুরু থেকে চাল নিয়ে সরকারের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা মনোভাব লক্ষ করা গেছে। চলতি বছর যখন চালের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছাল, তখনই আমদানি শুল্ক কমালে চালের বাজারের ঊর্ধ্বগতি ফেরানো যেত। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টরা বাস্তবানুগ পদক্ষেপ না নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করেছে এবং এখনো করছে।
যেখানে গণমাধ্যম পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম বার্তা দিয়ে সরকারকে সতর্ক করে দিচ্ছে, সেখানে চালের দাম বৃদ্ধির জন্য তাদের দোষারোপ করা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোরই নামান্তর। দেরিতে হলেও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবিৎ ফিরে আসুক।