, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin admin

নিন্দা প্রস্তাব আটকে দেয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু মিয়ানমারের

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৬ ১৯:৩১:৩৮ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৬ ১৯:৩১:৩৮

Spread the love
নিন্দা প্রস্তাব আটকে দেয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু মিয়ানমারের
নিন্দা প্রস্তাব আটকে দেয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু মিয়ানমারের

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, অনলাইন ডেস্কঃ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো ধরনের নিন্দা প্রস্তাব তোলা হলে তা আটকে দেয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে মিয়ানমার। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, এই লক্ষ্যে অং সান সু চি সরকার চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যদি রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের উপর কোনো নিন্দা প্রস্তাব তোলা হয়, তবে চীন ও রাশিয়া সেগুলোতে ভেটো দিয়ে আটকে দেবে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাই দু’দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সুচি সরকার।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বশেষ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠীকে দমনে অভিযান শুরুর পর প্রায় দেড় লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শান্তিতে নোবেল জয়ী কথিত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি মুখ খুললেও তার বক্তব্য ছিল অমানবিক। সু চির মতে, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী আসলে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত এবং তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়।

দমন নিপীড়নের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সু চি জানান, আসলে হত্যা ও অগ্নিসংযোগ (বাঙালি!!) রোহিঙ্গারাই ঘটাচ্ছে। ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর সমালোচনাও করেন।

যদিও বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার বিষয়ে একটি কথাও বলেননি সু চি।

অবশ্য মিয়ানমারের রোহিঙ্গা দমন অভিযান এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সু চি মনোভাবের কারণে দেরিতে হলেও আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার উদ্রেক হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস মঙ্গলবার রোহিঙ্গা নিধনের ব্যাপারে সুচিকে সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমারে জাতিগত রোহিঙ্গা নিধনে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা নেমে আসবে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তিনি দ্রুত সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ বিষয়টি নিয়ে সু চি’র সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। অবশ্য সে সময় রোহিঙ্গাদের দমনের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকা শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানী নে পি তাউ’এ এক সংবাদ সম্মেলনে কূটনৈতিক তৎপরতা প্রসঙ্গে কথা বলেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন। জানান, ‘রোহিঙ্গা নিধনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যাতে কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারে সেজন্য বন্ধুপ্রতীম চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেহেতু ওই দু’দেশ জাতিসংঘের যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রাখে।’

তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই তাদেরকে রাজি করানোয় বেগ পেতে হবে না। এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গেও একই রকমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মিয়ানমারের রয়েছে। ফলে আলোচনা এগিয়ে নিতে কোনো বাধা নেই।উৎসঃ পরিবর্তন ডটকম ।

Logo-orginal