admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১৮ ০০:২২:৩২ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১৮ ০০:২২:৩২
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের আরকানে মুসলিম নারী ও শিশু নির্যাতন এবং নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মিয়ানমারের সরকার ও বৌদ্ধদের কাছে মানবিকতা বলতে কিছুই নেই। তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বতম হত্যাকান্ড চালিয়ে মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত করেছে। মানবতার শত্রু মিয়ানমারের জালেম সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বার্মার সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। তাদের সাথে সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে।
হেফাজত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রকে কর্পোরেট মানসিকতা পরিহার করে আর্তমানবতার স্বার্থে জাতিসংঘের ‘শরণার্থী পুনর্বাসন আইন’ অনুযায়ী বাস্তু ও রাষ্ট্রহারা এবং সাগরে ভাসমান অসহায় রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ দেশে আশ্রয়দান ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে উপর্যুপরি চাপ প্রয়োগপূর্বক রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে বাধ্য করার ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অনুরূপভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মানবতার পক্ষে আওয়াজ তুলতে হবে। প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে হবে এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংস গণহত্যা পরিচালনার দায়ে এবং মানবতার বিরোধী অপরাধে কারণে থেইন সেইন সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
হেফাজত নেতৃদ্বয় আরকানে মুসলমানের ওপর নির্যাতন বন্ধে সোচ্চার ভ’মিকা রাখা এবং আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি এবং জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিব বরাবরে স্মরকলিপি প্রদানসহ হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত সকল কর্মসূচী সফল করার জন্য দেশবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন।