admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০১ ১৩:২২:৩০ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০১ ১৩:২২:৩০
আবুল কাশেম, আরটিএমনিউজ২৪ডটকমঃ মানবতার বিরুদ্ধে অমানবিকতা বা পশুত্ব আচরণ অপরাধ শুধু নয়, এই যেন সহায়হীন মানুষের প্রতি জংলী জানোয়ারের নির্মম থাবা, যেই থাবা শুধু রক্ত চোষতে জানে । সেই রক্ত চোষা কিছু দালাল নাফ নদীর তীর বয়ে উম্মুখ হয়ে আছে অসহায় সেই মানুষগুলির রক্ত-মাংস চিবিয়ে নিতে ।
মিয়ানমারের বৌদ্ধ জঙ্গী সরকার কতৃক ইতিহাসের জগন্যতম বর্বর নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষরা যখন একটু খানি আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্তের ঐতিহাসিক নাফ নদীর তীরে আসে তখনই ওৎপেতে থাকা দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে ।
কক্সবাজার জেলার বেশ কটি অনলাইন নিউজ ও স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, টেকনাফ-উখিয়ার কয়েকজন চিহ্নিত দালাল চক্রের খপ্পড়ে পড়ে সবকিছু হারিয়ে প্রাণও হারাতে হচ্ছে ইতিহাসে বর্বর নির্যাতনের সাক্ষী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ।
শাহপরীরদ্বীপে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে দালাল সিন্ডিকেড চরমভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ ও ৩১ আগষ্ট শাহপরীরদ্বীপ নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনা এবং লাশ উদ্ধারের পর প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া সত্বেও দালাল সিন্ডিকেডের তৎপরতা বন্দ হয়নি।
অভিযোগে জানা যায়, শাহপরীরদ্বীপে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে মিস্ত্রীপাড়ার লম্বা সলিম, শরীফ হোছন, নাজির হোছন, মোঃ হোছন, এনায়তুল্লাহ, নুর হোছন এবং ঘুলাপাড়ার কবিরা। এরা সকলেই চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত দালাল। এসব সিন্ডিকেটে আরও কয়েকজন দালাল রয়েছে। এদের নেতৃত্বে শতাধিক বোট মিয়ানমারে গিয়ে গত ২ রাতে কমপক্ষে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
এরা জনপ্রতি ১ থেকে ২ লক্ষ কায়াত (মিয়ানমার মুদ্রা) নেয়ার পরও বাংলাদেশের শাহপরীরদ্বীপ উপকুলে তীরে ভিড়ার আগে বোটের উপর স্বর্ণালংকার ও টাকা কেড়ে নিতে ধস্তাদস্তির কারণে বোট ডুবির মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এদের দেখাদেখি আরও কিছু নতুন দালাল সিন্ডিকেট সৃষ্টি হচ্ছে। তম্মধ্যে মিস্ত্রীপাড়ার লম্বা সলিম ও শরীফ হোছন, এবং ঘুলাপাড়ার কবিরা বিগত কয়েক যুগ ধরে এপার-ওপার ব্যবসা করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় মানব পাচারে পারদর্শী হয়ে উঠেছে।
মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি এমন জগণ্য আচরণ ভাবাও মহাপাপ । আমরা আরটিএম মিডিয়ার পক্ষ হতে এই অমানবিক আচরণের ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি ।
দেশের সচেতন মহল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই দালালদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।